বর্ষার মরশুম ক্রমশ এগিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে আন্দামানে বর্ষা ঢুকে গিয়েছে। তার উপর রয়েছে ঘুর্ণিঝড় রোমালের শঙ্কা। এই পরিস্থিতি আগাম ব্যবস্থা নিয়ে শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। ঘূর্ণিঝড় এলে শহরবাসীর যাতে আমফানের মতো অভিজ্ঞতা না হয় তারজন্য একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগের সময় পাম্পিং স্টেশনগুলোতে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত থাকে, তার জন্য সিইএসসিকে কড়া চিঠি দেওয়া হচ্ছে পুরসভার পক্ষে থেকে।
সোমবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই বার্তা পেতেই তড়িঘড়ি শহরের জল জমার সমস্যা মোকাবিলায় একটি বৈঠক ডাকেন, কলকাতা পুরসভার সচিব স্বপন কুণ্ডু। তিনি পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন। ‘কলকাতায় বায়ুদূষণ ৪০ শতাংশ কমেছে’ কেন্দ্রের রিপোর্ট তুলে ধরে দাবি ফিরহাদের
সিইএসসি-কে চিঠি
বৈঠকের পর নিকাশি বিভাগের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, ভারি বৃষ্টিতে কিংবা ঘূর্ণাবর্তের সময় যেন কোনওভাবেই শহরের মূল পাম্পিং স্টেশনগুলিতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে বলা সিইএসসি-কে। তার জন্য কড়া চিঠিও দেওয়া হচ্ছে বলে ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।
বাড়তি পাম্প
জল নামাতে স্থায়ী পাম্পিং স্টেশনের পাশাপাশি এ বছর ১৮৬টি পোর্টেবল পাম্প লাগাচ্ছে পুরসভা। সাধারণ ভাবে ১০ জুন বর্ষা ধরে পাম্প লাগানো হয়ে থাকে। সূত্রে খবর, আচমকা ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটিতে অতদিন অপেক্ষা করতে চাইছে না নিকাশি বিভাগ। বুধবার থেকেই সে সমস্ত পাম্প লাগানো শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন। নিখোঁজ বাংলাদেশি সাংসদের দেহ উদ্ধার নিউটাউনে, মৃত্যুর কারণ ঘিরে চরমে রহস্য
মজদুর মোতায়েন
পাম্পের পাশাপাশি শহরের যে সব এলাকায় বেশি জল জমে সেখানে শ্রমিক মোতায়েন করা হবে। উত্তর কলকাতার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি এলাকা এবং মহাত্মা গান্ধী রোডে মোতায়েন হবে শ্রমিক। পুরসভার নিকাশি বিভাগ সূত্রে খবর, জল নামানোর জন্য শ্রমিক থাকবে ডায়মণ্ড হারবার রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বিধান সরণী, ইএম বাইপাসেও।
খাল পরিষ্কার
শহরে জমা জল সমস্যা সমাধানে খালগুলিকে দ্রুত পরিষ্কার করার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য সেচ দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসছে পুরসভা। দক্ষিণ কলকাতার নিকাশি ব্যবস্থার অন্যতম ভরসা সন্তোষপুরের মণিখাল ও ইএম বাইপাসের কেপিটি খাল। এছাড়া রয়েছে প্রগতি ময়দান থানার চৌবাগা খালও। এই প্রতিটি খাল সেচদপ্তরের অন্তর্গত। এগুলি যাতে পরিষ্কার রাখা হয় তার জন্য সেচদফতরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে পুরসভা।
১ জুন কলকাতায় ভোট। তার মধ্যে যদি ঘূর্ণিঝড়ে যদি বেহাল হয় কলকাতা শহরের হাল, তবে ভোটে তার প্রভাব গুরুত্বপূণ হতে পারে।
আরও পড়ুন। ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা গোয়েন্দা রিপোর্টে, রাজ্যে নির্বাচন মিটলেও থাকবে বাহিনী