করোনাভাইরাসের জেরে দু’বছর কলকাতা পুরসভা কর আদায়ে জোর দেয়নি। মানুষের উপর যাতে চাপ না পড়ে তাই ধীরে চলো নীতি নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। এখন পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই কর আদায়ে জোর দিতে উদ্যোগী হচ্ছে পুরসভা। দু’বছর কর আদায় না হওয়ায় কলকাতা পুরসভার কোষাগারে টান পড়েছিল। সে কথা শোনা গিয়েছিল স্বয়ং মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গলায়। এবার হাল ফেরাতে এক নয়া উদ্যোগ গ্রহণ করল কলকাতা পুরসভা। আর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই বিষয়টি জানালেন পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমার।
ঠিক কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে? জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, কর্পোরেটর ধাঁচে এবার কলকাতা পুরসভা আদায় করবে কর। এখন সম্পত্তি কর বকেয়া প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। এবার সেই বকেয়া সম্পত্তি কর আদায়ে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। যে সমস্ত জায়গায় সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেশি এবং তা বাকি রাখা হয়েছে, সেখানে এবার পৌঁছে যাবেন পুরসভার কোনও পদস্থ আধিকারিক। অর্থাৎ দুয়ারে কর আদায় নামছে কলকাতা পুরসভা।
কত টাকা বকেয়া থাকলে পুরসভা পৌঁছবে? কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এক কোটি বা তার থেকে বেশি বকেয়া কর যেখানে রয়েছে সেখানে পৌঁছে যাবেন বিভিন্ন পদস্থ আধিকারিকরা। এমনকী ফোন করেও যোগাযোগ করা হবে। কেন এত পরিমান কর বকেয়া রাখা হয়েছে? জানা হবে। এবার রিপোর্ট তৈরি করে দিতে হবে পুরসভার কমিশনার বিনোদ কুমারকে।
কেন এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? সূত্রের খবর, এখন কলকাতা পুরসভার বকেয়া সম্পত্তি করের পরিমাণ অনেক বেশি। তাছাড়া কোষাগারের হাল তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তাই উন্নয়নের কাজ আটকে যাচ্ছে। বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তাই দুয়ারে কর আদায়ের ভাবনা করা হয়েছে। এবার থেকে বিভিন্ন পদস্থ আধিকারিকরা কর বাকি রাখার কারণ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করবেন পুর কমিশনারকে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।