Kolkata municipal corporation: শহরে যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা রুখতে কড়া কলকাতা পুরসভা, নেওয়া হচ্ছে স্পট ফাইন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাস্তায় জঞ্জাল পড়ে থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই কঠোর পদক্ষেপে গ্রহণ করে কলকাতা পুরসভা। যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা আটকাতে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন পুর আধিকারিকরা। তারা ট্রাফিক পুলিশের মতোই স্পট ফাইনের উপর জোর দিয়েছেন।

শহরে যত্রতত্র জঞ্জাল বা আবর্জনা ফেলা আটকাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কলকাতা পুরসভা। তারপরেও সেই প্রবণতা কমছে না। এর ফলে দূষিত হচ্ছে শহরের পরিবেশ। তাই জঞ্জাল ফেলা আটকাতে কড়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভা। সেই নির্দেশিকা মতো ইতিমধ্যেই টহল দিতে শুরু করেছেন কলকাতা পুরসভার সাফাই বিভাগের আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে কাউকে জঞ্জাল বা আবর্জনা ফেলতে দেখলে স্পট ফাইন করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে জঞ্জাল বা গাছের পাতা পোড়ালেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার রাস্তায় জঞ্জাল পড়ে থাকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরেই কঠোর পদক্ষেপে গ্রহণ করে কলকাতা পুরসভা। যত্রতত্র আবর্জনা ফেলা আটকাতে রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন পুর আধিকারিকরা। তারা ট্রাফিক পুলিশের মতোই স্পট ফাইনের উপর জোর দিয়েছেন। এরকম হলে সেক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে যেখানে সেখানে আবর্জনা ফেলার প্রবণতা কমবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। সাধারণত, বর্তমানে আইন অনুযায়ী, কোনও জায়গায় আবর্জনা ফেললে জরিমানা করা হচ্ছে ৫৮০ টাকা। আর যদি একই ব্যক্তি দ্বিতীয় বার এই অপরাধ করেন তাহলে জরিমানা করা হচ্ছে ৮১১ টাকা।

অন্যদিকে, যদি কেউ জলাশয়ে আবর্জনা ফেলে তাহলে সেক্ষেত্রে ২৩২ টাকা জরিমানা হচ্ছে। তবে বিশেষ বিশেষ জায়গা যেমন হাসপাতাল, নার্সিংহোম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা ধর্মীয় স্থানে যদি কেউ আবর্জনা ফেলে তাহলে দ্বিগুণ জরিমানা করা হচ্ছে। এই জরিমানার পরিমাণ হল ১১৫৮ টাকা।

পুরসভার জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, পুরসভার অধিকারিকরা রাস্তায় রাস্তায় টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ যত্রতত্র জঞ্জাল ফেললেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। স্পট ফাইন নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও, মানুষকে এ নিয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, সাফাই কর্মীদের মধ্যেও অনেক সময় আবর্জনা বা গাছের শুকনো পাতা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে সাফাই কর্মীদেরও এ নিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি কলকাতায় ট্রি গার্ডের ভেতরে আবর্জনা ফেলার প্রবণতা দেখা যায় নাগরিকদের মধ্যে। তার ফলে যেমন সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি গাছেরও ক্ষতি হয়। এই অবস্থায় ট্রি গার্ডগুলি খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা।