পরিশুদ্ধ জল সরবরাহ আংশিকভাবে বন্ধ থাকবে। কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। রাত পোহালেই সোমবার সকাল থেকে কলকাতায় জল সরবরাহ আংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। এই জল সরবরাহ রাখবে কলকাতা পুরসভা সকাল ৯টা থেকে। সুতরাং ১৬ ডিসেম্বর শীতের সকালে জল নিয়ে খানিকটা সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জেরে জল সরবরাহ আংশিক বন্ধ থাকবে সল্টলেক এবং দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার একাধিক এলাকায়। তাতে জলের কষ্টও পাবেন বিস্তর মানুষজন।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ঠিক হয়েছিল রবিবার দিন পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। সেখানে সোমবার দিন সকাল ৯টা থেকে পরিশুদ্ধ জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে কলকাতা পুরসভা বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তা থেকে জানা যাচ্ছে, টালা পাম্পিং স্টেশনে কিছু নতুন যন্ত্র বসবে এবং মেরামতের কাজ চলবে। তাই ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ থেকে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত। সেখানে হাইভোল্টেজ মোটর থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক যন্ত্র বসবে এবং মেরামতের কাজ চলবে। ওই ট্যাঙ্কে কিছু লিকেজ দেখা গিয়েছে। তা মেরামত করা হবে বলে খবর।
আরও পড়ুন: বাংলার ডাকঘরেই পড়ে রয়েছে লক্ষাধিক ভোটার কার্ড, নির্বাচন কমিশনের তথ্যে আলোড়ন
এই জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে বরো ১ থেকে শুরু করে বরো ৮ পর্যন্ত। কলকাতার প্রায় সব অনুষ্ঠান ভবন এখন বুক হয়ে গিয়েছে। কারণ বিয়েবাড়ি থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠানের কাজ সেখানে হবে। তাই রবিবার দিন সেসব জায়গায় জল বন্ধ করা হচ্ছে না। জনস্বার্থের কথা ভেবে রবিবারের পরিবর্তে সোমবার সকাল ৯টা থেকে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ফলে টালা থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে না। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। এই জল সরবরাহ বন্ধ থাকার জেরে বড় অংশের জনজীবনে প্রভাব পড়বে।
সকাল ৯টা থেকে জল বন্ধ থাকলে দৈনন্দিন কাজে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে গৃহস্থালি কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁদের এই সমস্যা বেশি হবে। আর তা পরেরদিন পর্যন্ত চলায় জলের সংকট তীব্র আকার নেবে। একই অবস্থা দেখা যাবে সল্টলেক পুরসভা এলাকাতেও। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, পলতা জল উৎপাদন কেন্দ্র এবং টালা সরবরাহ কেন্দ্রের পাইপ লাইন এবং নানা জায়গায় অন্তত ৫০টি রকমের মেরামত করা হবে। যাতে ২০২৫ সালের গরমকালে সাধারণ মানুষের জলের অসুবিধা না হয়। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘মরশুমের শেষ বিয়ের দিন ডিসেম্বর মাসে। তাই জল সরবরাহ বন্ধ রাখার দিন বদলের জন্য অনেক অনুরোধ এসেছিল। মানুষের অনুরোধে সাড়া দেওয়া হয়েছে।’