কলকাতার রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা নিয়ে গত বছর বিতর্কের শেষ ছিল না। সরোবরের বাসিন্দা এক কচ্ছপের দেহ ভেসে ওঠার পরে বিতর্ক আরও বাড়ে। মাছের মড়কও দেখা দেয়। ছটপুজোয় ভিড় করে আসা ধর্মালম্বী মানুষের ওপর লাঠিও চালাতে হয়। এবার সেই রবীন্দ্র সরোবরেই ছটপুজো করার অনুমতি দিতে জাতীয় পরিবেশ আদালতে আবেদন জানাল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)।
একদিকে, জাতীয় সরোবরকে দূষণ থেকে বাঁচাতে জাতীয় পরিবেশ আদালতের কড়া নির্দেশ। আর এক দিকে, দূষণের তোয়াক্কা না করে সরোবরের জলে ফুল, বেলপাতা, সিঁদুর ঢেলে দেওয়া ধর্মলম্বী মানুষ। এই দুই পক্ষের মাঝে পড়ে গত বছর দিশেহারা হয়ে পড়ে কলকাতা পুরসভা ও পুলিশ–প্রশাসন। রাজ্য সরকারও পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা সম্ভব নয়।
তাই এবার আগেভাগেই এর বিহিত চেয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। এ বছর রবীন্দ্র সরোবরেই ছটপুজো করার অনুমতি চেয়ে পরিবেশ আদালতে বিশেষ আবেদন জানানো হয়েছে কেএমডিএ–র পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ওই আবেদনের শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর কেএমডিএ শহরের একাধিক জায়গায় ছটপুজো করার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করে দেয়। সেই মতো পুলিশ–প্রশাসনকে নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। শেষমেশ ছটপুজোর রীতি পালন করতে সকলে রবীন্দ্র সরোবরেই ভিড় করে। এ বারও যে তার অন্যথা হবে না তা বুঝেই কেএমডিএ জাতীয় পরিবেশ আদালতের কাছে জানিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।