এবার দখলদারদের বিরুদ্ধে কড়া হতে চলেছে কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। জমি দখল করে নিচ্ছে তারা বলে অভিযোগ। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটতে চলেছে (কেএমডিএ)। এই কাজ করতে গিয়ে সংস্থার কত জমি বেআইনিভাবে দখল হয়েছে, তার সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে আসার পরই যে ফাঁকা জমি পড়ে রয়েছে, সেগুলি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে। এমনকী আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে কেএমডিএ সূত্রে খবর। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ফাঁকা জমি কোথায় কোথায় আছে, কোথায় বেআইনিভাবে দখল করা হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে।’
সরকারি জমি ফাঁকা পড়ে থাকলে তা দখল হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিও দখল হয়ে যায়। দেখা গিয়েছে, নোনাডাঙা বাসস্ট্যান্ডের বিপরীতে কেএমডিএ’র একটি খালি জমি দখল হওয়া আটকাতে পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার জন্য রপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এবার সংস্থার সমস্ত খালি জমি পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগকে অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে সংশয়ও প্রকাশ করেছেন অনেকে। কারণ তিন বছর আগে ‘কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল’–এর (সিএজি) রিপোর্ট জানিয়েছিল, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া–সহ রাজ্যের ন’টি জায়গা থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ৩৫৮.৯৫ একর সরকারি জমি বেআইনি দখল করে রাখা হয়েছে। তার জেরে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
এখন ‘ইস্ট কলকাতা এরিয়া ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ (ইকেএডি) আওতাভুক্ত এলাকায় কেএমডিএ’র সমীক্ষার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। এই সংস্থা সূত্রে খবর, চার–পাঁচ বছর আগে সংস্থার অধীনস্থ জমি নিয়ে একটি সমীক্ষা হয়েছিল। তবে এখন যে সমস্ত জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে, সেগুলির অবস্থা তুলে ধরাই নয়া সমীক্ষার উদ্দেশ্য।