অভিষপ্ত বিবেকানন্দ উড়ালপুল ভাঙার সময় আসেপাশের বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি রুখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে KMDA. সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উড়ালপুল ভাঙার সময় এলাকায় কতটা কম্পন হচ্ছে তা জানতে বিভিন্ন জায়গায় সিসমোগ্রাফের মতো যন্ত্র বসাতে চলেছে তারা। কোথাও কম্পন বেশি হলেই আওয়াজ করে সতর্ক কপবে এই যন্ত্র।
হাওড়া সেতুর দিক থেকে পোস্তা মোড় পর্যন্ত বিবেকানন্দ উড়ালপুর ভাঙার কাজ শেষ করে ফেলেছে KMDA. এই অংশে নির্মাণকাজ তেমন না এগোনোয় ভাঙার কাজ অনেক সহজ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার ইঞ্জিনিয়াররা। তাছাড়া এই অংশে রাস্তার পাশে ছিল কিছু গুদাম। ফলে ঝুঁকি ছিল অনেক কম।
গত ২৭ অগাস্ট থেকে গিরিশ পার্ক ও গণেশ টকিজের মধ্যে উড়ালপুলের অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছেন ইঞ্জিনিয়াররা। আর সেই কাজ করতে হচ্ছে অত্যন্ত সতর্ক ভাবে। কারণ এই অংশে একাধিক বশতবাড়ির কান ঘেঁষে গিয়েছে উড়ালপুল। অনেক বাড়ির বারান্দা বা জানলে থাকে ছোঁয়া যায় উড়ালপুলের রেলিং। তাছাড়া এই অংশে উড়ালপুলের নির্মাণকাজ অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল। পিয়ার, স্প্যানের পাশাপাশি তৈরি হয়ে গিয়েছিল র্যাম্পও। সেই সব ভারী নির্মাণ যন্ত্র দিয়ে ভাঙতে গিয়ে কেঁপে উঠছে আসেপাশের পুরনো বাড়িগুলি। ফলে আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
KMDA-র তরফে জানানো হয়েছে, ঝুঁকি এড়াতে সিসমোগ্রাফের মতো বিশেষ যন্ত্র আমদানি করেছে তারা। সেই যন্ত্রই কম্পনের মাত্রা নির্দিষ্ট সীমা ছাড়ালে শব্দ করে জানিয়ে দেবে। ফলে সতর্ক হতে পারবেন ইঞ্জিনিয়াররা। তবে স্থানীয়দের দাবি, এখনো এমন কোনও যন্ত্র চোখে দেখেননি তাঁরা।