ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে জারি কেন্দ্র-রাজ্যের টানাপোড়েন। বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মুখ্যমন্ত্রী বা পুরমন্ত্রীকে। বৃহস্পতিবার পালটা বিবৃতি জারি করে কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানো হয়েছে, নিজে হাতে নবান্নে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে এসেছেন তাদের আধিকারিক। তবে নবান্নের তরফে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।
কেএমআরসিএল জানিয়েছে, গতকাল প্রথমে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর পর রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের নির্দেশে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে হাজির হন কেএমআরসিএল-এর কর্তা। মুখ্যমন্ত্রীর সচিব সেই আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন।
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পথ চলা শুরু করবে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো। বুধবার সেই অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দেয় রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বা পুরমন্ত্রী কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি অনুষ্ঠানে। কেবলমাত্র আমন্ত্রণ পেয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু, স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ও স্থানীয় পুরপ্রধান কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
এই ঘটনায় বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসৌজন্যের রাজনীতির অভিযোগ তোলে তৃণমূল। বিজেপির পালটা অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে প্রাতিষ্ঠানিক অসৌজন্যের প্রতিষ্ঠাতা তৃণমূল। জেলায় কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক পান না বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিরা। তাই তৃণমূলের মুখে সৌজন্যের শলা মানায় না।