জাগো বাংলার শারদ সংখ্যা। তৃণমূলের মুখপত্রের শারদ সংখ্য়ায় কলম ধরলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানেই তিনি আরজি করের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন। মমতা লিখেছেন, আরজি করের ঘটনায় আমার হৃদয় জ্বলে ছারখার হয়ে গেছে। মনে হচ্ছিল পরিবারের কাউকে হারালাম। লিখেছেন মমতা।
গোটা বাংলায় মহালয়ার দিনেও প্রতিবাদের ঝড়। কলকাতায় বিরাট মিছিল। ধর্মতলায় মহা সমাবেশ। হাজার হাজার মানুষ শামিল হয়েছিলেন এই কর্মসূচিতে। একদিকে পুজোর উদ্বোধনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর অন্যদিকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মহালয়ার দিনেও প্রতিবাদ মিছিল।
এই মিছিল অস্বস্তি বাড়িয়েছে তৃণমূলের। অস্বস্তি বাড়িয়েছে সরকারের। সব মিলিয়ে আরজি করের ঘটনাকে ঘিরে প্রতিবাদের ঝড় কোনও অংশে কমেনি। মহালয়ার দিনেও মহা মিছিল। মহা সমাবেশে। একেবারে উপচে ওঠে জনতার ভিড়। রাজপথে আজও স্লোগান, জাস্টিস ফর আরজি কর। নির্যাতিতার বিচার চাই।
এসবের মধ্য়েই বুধবার নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার শারদ সংখ্য়ার প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লেখা গানের অ্যালবামও প্রকাশিত হয়। আর সেই অনুষ্ঠানে মমতা জানিয়ে দেন, শারদ সংখ্য়ার প্রচ্ছদও এঁকেছেন তিনি।
মমতার পুজোর গানের অ্যালবাম অঞ্জলি। তাঁর কথায় ও সুরে তৈরি হয়েছে এই অ্যালবাম। প্রসঙ্গত একটা সময় ছিল যখন পুজো মানেই ছিল শারদীয়া সংখ্যা, পুজোর গানের অ্যালবাম।
মমতা বলেন, জাগো বাংলার শারদ সংখ্য়ায় অনেক ইনফরমেশন থাকে। অনেক কষ্ট করে এটা হয়। আমরা এক পয়সারও বিজ্ঞাপন নিই না।
তবে এবার উৎসবের উদ্বোধন থেকেই বার বার বন্যাত্রাণের তাঁদের অবদানের কথা জানিয়েছেন। ফের জাগো বাংলার প্রকাশ অনুষ্ঠানেও তিনি সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, অনেক বানভাসি মানুষ আছেন। তাদের পাশে সাধ্যমতো থাকুন। আমরা অনেক করেছি। আমাদের দল অনেক করেছে। আমরা চুপ করে কাজ করেছি। আমাদের দল অনেক করেছে। আমরা চুপ করে কাজ করছি। আমি মনে করি চুপ করে কাজ করা উচিত। বেশি বকবক করা উচিত নয়।
আর পুজো কেন করা দরকার সেই প্রশ্নের জবাবও নিজে দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, আমি মনে করি সবাইকে নিয়ে চলায় একটা প্রাণ আছে। অনেক বড় বড় পুজো কলকাতায় হয়। অনেক ভালো পুজো জেলায় হচ্ছে। পুলিশের সাথে সমণ্বয় রাখুন। প্রবীণ, শিশু ও নবীনদের দিকে বেশি নজর রাখুন।