আরজি কর ইস্যুতে ফের মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একেবারে নাম না করে তিনি কি এবার আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের একহাত নিলেন? এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর পোস্টের একেবারে শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, নিজেদের আখের গোছানো শয়তানগুলোকে চিনে রাখুন।
কুণাল লিখেছেন, 'কতিপয় মিথ্যাবাদী ধান্দাবাজ আরজি কর নিয়ে পোস্ট করছেন, 'না বিচারের চার মাস।'
সোশ্যাল মিডিয়ার সুযোগ নিয়ে ব্যক্তিস্বার্থে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে প্রচার লাভ এদের নেশায় দাঁড়িয়েছে।
২৪ ঘন্টার মধ্যে ধর্ষণ ও খুনের আসল লোকটিকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিস। তাদের হাতে থাকলে এতদিনে কুলতলির মত ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়ে যেত।
এই অতিবিপ্লবী বা মেকি বিপ্লবীরাই কোর্ট থেকে সিবিআই এনেছে। তদন্ত, চার্জশিট, চার্জফ্রেম হয়েছে। আদালতে রোজ বিচারের সাক্ষ্য, শুনানি চলছে। সুপ্রিম কোর্ট নজরদারি করছেন। সেখানেও ভুয়ো বিপ্লবীদের আইনজীবীরা রয়েছেন। কোথাও কোনো ফাঁক নেই। বিচার চলছে।
তাহলে 'না বিচার' বা 'বিচারহীন' বলে উস্কানিমূলক দিন গণনার পোস্ট দিচ্ছেন কারা? নিজেদের প্রচার, কেরিয়ার, রাজনীতি, ফিল্ম ফেস্ট, যাবতীয় কাজ গুছিয়ে এই সব মিথ্যা পোস্টের নাটক যাঁরা করছেন, এইসব স্বার্থপর, নাটকবাজ, অভয়ার আবেগকে বিক্রি করে নিজেদের আখের গোছানো শয়তানগুলোকে চিনে রাখুন।'
লিখেছেন কুণাল ঘোষ। তবে কুণাল ঘোষের নিশানায় ঠিক কারা সেটা তিনি স্পষ্টভাবে কিছু লেখেননি। তিনি কি জুনিয়র ডাক্তারদের আক্রমণ করলেন নাকি তাঁর নিশানায় বামপন্থী আন্দোলনকারীররা? সেটা তিনি স্পষ্টভাবে কিছু লেখেননি। তবে তাঁর পোস্টের শেষের অংশটি অত্যন্ত আক্রামাণাত্মক। তিনি লিখেছেন, নিজেদের প্রচার, কেরিয়ার, রাজনীতি, ফিল্ম ফেস্ট, যাবতীয় কাজ গুছিয়ে এই সব মিথ্যা পোস্টের নাটক যাঁরা করছেন, এইসব স্বার্থপর, নাটকবাজ, অভয়ার আবেগকে বিক্রি করে নিজেদের আখের গোছানো শয়তানগুলোকে চিনে রাখুন।'
এদিকে কুণাল ঘোষের এই পোস্টের জবাবে নানা জনে নানা কথা লিখছেন। এক নেটিজেন লিখেছেন, যাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্য়ে আপনি ধরেছেন সেই লোকটা হাসপাতালের কোনও বিভাগের সঙ্গে যুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও হাসপাতালের মধ্য়ে ঢুকে খুন, ধর্ষণ সে করলো কী করে? কোথায় ছিল হাসপাতাল ও ডাক্তারদের নিরাপত্তা? যার বা যাদের অকর্মণ্যতার জন্য় একজন ডাক্তারকে ধর্ষিতা হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে তাদের গ্রেফতার করেছেন? অপর এক নেটিজেনের দাবি প্রশাসনিক মদতে প্রমাণ লোপাট করে এখন বড় আওয়াজ দেওয়া হচ্ছে।