শান্তনু সেন সাসপেন্ড। এরপর কী প্রতিক্রিয়া দিলেন তিনি?
শান্তনু বলেন, সকালেও তো দলের হয়েই কথা বললাম। বুঝতেই পারলাম না দলবিরোধী কাজ কোনটা করলাম? সাসপেন্ডের খবরে কার্যত হতবাক শান্তনু সেন। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা হিসাবেই পরিচিত। তার থেকেও ইদানিং তিনি পরিচিত হচ্ছিলেন অভিষেকপন্থী নেতা হিসাবে। তবে এটি অবশ্য় শান্তনু মানতে রাজি নন।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আরজি করের স্বতস্ফূর্ত আন্দোলনের পেছনে শান্তনু সেন ছিলেন এমন একটা তত্ত্ব প্রচার পেয়েছিল। তবে কি তারই মাসুল গুনলেন তিনি?
সাসপেন্ডের খবর শোনার পরে এবিপি আনন্দে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শান্তনু বলেন, আমি তো বুঝতেই পারছি না দল বিরোধী কাজ কী করলাম। এটা বুঝিয়ে দিলে ভালো হত। ঘুমনো আর পেশাগত কাজ ছাড়া সবটাই তো দলের জন্যই করি।
শান্তনু সেন বলেন, আরজিকর সন্দীপ ঘোষের হাত ধরে যে রসাতলে গিয়েছিল সঠিক খবরটি সঠিক জায়গায় যায়নি। তবে ওই আন্দোলনকে কোনও ব্যক্তি বিশেষের পক্ষে মদত দিয়ে করা সম্ভব নয়। আমি ভিক্টিমাইজড হয়েছি। আমার মেয়ে ভিক্টিমাইজড হয়েছে। তারপরেও দলের স্বার্থে কোথাও বলিনি। আরজিকরের ঘটনার পরে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেছিলাম যাতে বোঝানো যায়। এটা ছিল স্বতস্ফূর্ত আন্দোলন।
তিনি বলেন, কোনও বড় স্ক্যামও করিনি। কোথাও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে ধরা পড়িনি। যেটুকু যা কাজ করেছি তা দলের পক্ষে করেছি।
তিনি বলেন, যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারাই বলতে পারবেন। আমি কোনও পদাধিকারির বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি যা করেছি সবটা দলের ভালোর জন্য় করেছি। আজও সকালে দলের সমর্থনে কথা বললাম।
আপনি কি অভিষেকপন্থী?
শান্তনু বলেন, অভিষেক কি দলের বাইরে নাকি! মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আমাদের নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হাত ধরে সংগঠন তৈরি হয়েছে। আমি মনে করি দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কোনও বিভাজন করব না। প্রথমে তো ভাবতে সময় লাগবে আমি কেন সাসপেন্ড হলাম।
তিনি বলেন, আমি রামকৃষ্ণ মিশনে পড়া ছাত্র। আমায় যদি দেখিয়ে দেওয়া হয় আমি এই কাজগুলি দলবিরোধী কাজ করেছি। তাহলে ক্ষমা চেয়ে নেব। আমার বিরুদ্ধে ইডি সিবিআই রেইডও হয়নি।
আমি আরজিকরের যে অবস্থা দেখেছিলাম তা দেড় বছর আগে জানিয়েছিলাম। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলাম। হয়তো দলনেত্রীর কাছে সঠিক খবরটা যায়নি।