যাদবপুর ক্যাম্পাসে পুলিশ আউটপোস্ট বসানোর পরিকল্পনা। এদিকে পুলিশের এই উদ্যোগকে ঘিরে এবার তীব্র আপত্তি উঠতে শুরু করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। মূলত বাম ও অতিবাম মনস্ক ছাত্রছাত্রীরা এবার দাবি তুলছেন ক্য়াম্পাসে পুলিশ থাকবে কেন?
পালটা উঠছে প্রশ্ন ,থাকবে না কেন? পুলিশ থাকলে, ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা থাকলে আপত্তিটা কোথায়?
এদিকে যাদবপুর ক্য়াম্পাসে একাধিক বামপন্থী ছাত্রের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব যে সুরক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে সেটাকে বৃদ্ধি করা হোক। সেখানে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পুলিশ কেন থাকবে ক্যাম্পাসে? অপর এক বামপন্থী ছাত্র সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পুলিশ সেফগার্ড দিচ্ছে তৃণমূলের গুণ্ডাদের। তারা যাতে এখানে থাকতে পারে সেকারণেই পুলিশ আউটপোস্ট করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
তবে শেষ পর্যন্ত জল কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।
এদিকে এক সিপিএম নেত্রী বলেন, আসলে পুলিশ রাখার মূল উদ্দেশ্য় হল ক্যাম্পাসে নজরদারি করা। সেকারণেই পুলিশ রাখার কথা বলা হচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালেও তো আগে পুলিশ আউটপোস্ট ছিল। তারপরেও আরজি করে ভয়াবহ ঘটনা হয়েছে।
এদিকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে পুলিশ আসা নিয়ে আগে থেকেই আপত্তি ছিল ছাত্রছাত্রীদের একাংশের মধ্য়ে। বার বারই এই আপত্তি উঠেছে। তার জেরে পিছু হঠেছে রাজ্য সরকার। তবে এবার রাজ্য সরকার পিছু হঠবে কি না সেটাই এখন দেখার।
তবে ইতিমধ্য়েই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ আউটপোস্ট করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে চিঠি দিয়েছে লালবাজার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কি রাজি হবে? এখানে কার্যত দুটি দিক রয়েছে। একটা বিষয় হল পুলিশের জন্য় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজি হয়ে গেলে ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হতে পারে যাদবপুর ক্যাম্পাস। আবার যদি রাজি না হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তারপরে যদি অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনে তাহলে পুরো দায় গিয়ে পড়বে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর।
শেয পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই দেখার। ইতিমধ্য়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে এনিয়ে জোর চর্চা হচ্ছে। যাদবপুরের ক্যাম্পাসে পুলিশ আউটপোস্ট নিয়ে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত যাদবপুর ক্যাম্পাস।
গত সোমবার ক্য়াম্পাসে সাদা পোশাকের পুলিশ এসেছিল। তারপর যখন পুলিশ বেরিয়ে যায় তখন অধ্য়াপকদের একাংশ বলেছিলেন পুলিশ বেরিয়ে যাওয়ার পরেই ছাত্রছাত্রীরা শান্ত হয়ে গিয়েছেন। পুলিশ নিয়ে তাঁদের আপত্তি ছিল। তবে এবার পুলিশ আউটপোস্ট হলে সেই অধ্য়াপকদের একাংশ কী বলবেন সেটাও দেখার।