গোটা বাড়িটা একেবারে খাঁ খাঁ করছে। পাড়ার মেধাবী মেয়েটাই চলে গেল চিরদিনের জন্য। আরজি করে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ওই মহিলা চিকিৎসককে। বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের দুপুরে মুখ খুললেন মৃত মহিলা চিকিৎসকের মা।
সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, সিবিআই এসেছিল। আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। যা জানাবার সেটা জানিয়েছি। তদন্তের জন্য যা বলার কথা সেটা তাঁদেরকে বলেছি। আমাদের যতটা বলার কথা, আমাদের মেয়ের বিষয়ে আমরা যা জানি সবটা বলেছি। তাদের হাতে তুলে দিয়েছি।
সেই সঙ্গে আরজি করের ভাঙচুর নিয়ে মুখ খুললেন মৃতার মা। তিনি সাফ জানিয়েছেন প্রমাণ লোপাটের জন্য এসব করা হয়েছিল। আমাদের ঘরের মেয়েটা যাতে বিচার পায় তার জন্য় আমাদের সহযোগিতা করুন।
আমরা সিবিআই চেয়েছিলাম। সিবিআইয়ের উপর আমাদের ভরসা আছে। জানিয়েছেন তিনি।
গোটা পরিবার কার্যত শোকে পাথর। তবুও তাঁরা দেখছেন গোটা বাংলা তাঁর মেয়ের মৃত্যুর পেছনে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে। তাঁদের কন্যা যাতে ন্যায় বিচার পান তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেকারণে সব দুঃখকে বুকে চেপে মুখ খুলেছেন তাঁরা
বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি টিম তাঁদের বাড়িতে যান। তাঁরা গিয়ে মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতের পরিবারের তরফে তাঁদের কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। নানা বিষয় নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন করেছেন। প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করেছে মৃত চিকিৎসকের পরিবার।
এদিকে বুধবার রাতে আচমকাই আরজিকর হাসপাতাল চত্বরে ভাঙচুর হয়েছিল। সেই ভাঙচুর প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন মৃতের মা। তিনি জানিয়েছেন, প্রমাণ লোপাটের জন্য এই ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে খুনের ঘটনা কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক নাইট ডিউটি করছিলেন। তারপর ঘুমিয়ে পড়েন সেমিনার হলে। যেখানে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়ে উঠেছে গোটা বাংলা। নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে ১২ জনের একটি দল গঠন করেছে সিবিআই। সেখানে আছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ,চিকিৎসক ও তদন্তকারী অফিসাররা। তদন্তের মূল দায়িত্বে আছেন নয়াদিল্লির অফিসাররা। এই ঘটনায় সাহায্য করবে কলকাতার স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চকে।
সিবিআইয়ের টিম এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। তবে তার আগের রাতে ভাঙচুর করা হয়েছে আরজি করে। এনিয়ে বিস্ফোরক মৃতের পরিবার।