রেলের একাধিক আন্ডারপাস থাকে জলে ভর্তি। এটা একরকম গা সওয়া হয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু জল থই থই মেট্রো রেল সেটা বিশেষ দেখা যায় না। তবে এবার রেমালের পরে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে দেখা গিয়েছিল সেই ছবি। রেমালের প্রভাবে রাতভর বৃষ্টি। পরের দিনও বৃষ্টি হয়েছিল। আর এরপর দেখা যায় জলে একেবারে থইথই করছে পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশন। এনিয়ে নানা চর্চা হয়েছিল। কিন্তু কী কারণে মেট্রো স্টেশনের ভেতর জল ঢুকল তা নিয়ে যাত্রীদের মধ্য়ে নানা প্রশ্ন এসেছিল। কারণ সামনেই বর্ষাকাল আসছে। সেই সময় যদি মেট্রো স্টেশনে জল ঢুকে পড়ে তবে তাতে মহা সমস্যা হতে পারে। সেকারণে এনিয়ে চর্চাও চলে পুরোদমে। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ আপাতত জল ঢোকার আসল কারণ ধরতে পেরেছে। ঠিক কোথা দিয়ে জল ঢুকে গিয়েছিল সেটা জানতে পেরেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
এমনকী মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই জল কোথা থেকে ঢুকেছিল সেটা একেবারে নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার মেট্রো রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়ে দিয়েছেন যে কোথা থেকে সেদিন পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে জল ঢুকেছিল তা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। মেট্রো স্টেশনে জল ঢোকার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে প্রথম আসে রেমালের আগেই। গত ২২শে মে এই বিষয়টি নজরে আসে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২২শে মে শহরে ভারী বৃষ্টি হয়েছিল।
জল ঢুকল কীভাবে?
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেট্রো রেলের সীমানা নির্ধারনকারী দেওয়াল বা ডি ওয়াল থেকে স্বাভাবিকের থেকে চেয়ে বেশি জল চুঁইয়ে পড়েছে। এরপর ২৭ মে রেমালের প্রবল বৃষ্টি। এর জেরে পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেড স্টেশনের মধ্য়বর্তী নালায় জল জমে গিয়েছিল। এনিয়ে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই জমা জল আসলে কলকাতা পুরসভার নিকাশি নালা উপচে এসেছে। তবে পুরসভার তরফে কোনও ধরনের গাফিলতির অভিযোগ মানা হয়নি।
এবার প্রশ্ন এই পার্ক স্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে জল জমা কীভাবে আটকানো যাবে?
এক্ষেত্রে যেটা বলা হচ্ছে যে ইঁটের নর্দমা সারাই করা হবে। সেই কাজে পুরসভাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এদিকে ওই ডি ওয়াল দিয়ে যাতে জল ভেতরে ঢুকতে না পারে সেকারণে সেখানে ইতিমধ্যেই সেখানে সিমেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছে। সেই দেওয়ালে ১১১ বস্তা সিমেন্ট প্রয়োগ করা হয়েছে।