উপনির্বাচনে সিক্সার। ছক্কা হাঁকিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি বল দেখারও সুযোগ পায়নি। কোথা দিয়ে কী হয়ে গেল সেটা বুঝতেই পারছে না গেরুয়া শিবির। এবার প্রশ্ন , শাসক তৃণমূল কোন কেন্দ্রে কত শতাংশ ভোট পেল?
নৈহাটি কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে ৪৯,২৭৭টি ভোট। অর্থাৎ বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ হল ৬২.৯৭ শতাংশ।
তালডাঙরা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট- ৩৪,০৮২। শতাংশের হিসাবে তৃণমূল পেয়েছে ৫২.০৭ শতাংশ।
হাড়োয়া কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে ১,৩১,৩৮৮ ভোট। সব মিলিয়ে তৃণমূল ৭৬.৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
মেদিনীপুর কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে ৩৩,৯৩৬ ভোট। তাদের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ ৫৩.৪৪ শতাংশ।
এবার আসা যাক উত্তরবঙ্গের দুই কেন্দ্রের দিকে।
কোচবিহারের সিতাই কেন্দ্রে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। এখানে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ১,৩০,৬৩৬। এখানে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের শতাংশ হল ৭৬.০৮ শতাংশ। মাদারিহাটের তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ২৮,১৬৮। তাদের ভোটের শতাংশ ৫৪.০৫ শতাংশ।
শতাংশের হিসাবে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে হাড়োয়া কেন্দ্র। এরপরই সিতাই কেন্দ্র। দুটি কেন্দ্রে কার্যত মাথা তুলতে পারেনি বিজেপি। দুটি কেন্দ্রেই ৭৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে শাসক তৃণমূল।
এই ভোট দেখে কার্যত হতবাক অনেকেই। ইতিমধ্য়েই তা নিয়ে নানা কাটাছেঁড়া শুরু করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে বাংলায় বিজেপির নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্য়েই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, যে প্রচারে বেরিয়েই তিনি এই ফলাফল হবে তার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন।
তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখনই হতাশ হতে রাজি নন। তবে বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলে অবশ্য শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। জেলায় জেলায় যে ভাবে মনোবল ভেঙে গিয়েছে বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের তারপর কীভাবে ২০২৬ সালে বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এসবের মধ্য়ে কার্শিয়াংয়ের এমএলএ বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা এনিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন। তিনি একসময় বিজেপির টিকিটেও জয় পেয়েছিলেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আদানি আর আম্বানিকে কাঁধে চাপিয়ে রেখে দিয়েছে। আর সেই বিজেপিই দুর্নীতির কথা বলছে। এখানকার আদিবাসী মানুষদের অধিকার রক্ষা করছে না অথচ বাংলাদেশি হিন্দুদের সিএএর নাম করে প্রলোভন দেখাচ্ছে। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে, তারপর রাজ্য়ে ভোটে জেতার কথা ভাবছে। ’
‘অপর দিকে তৃণমূল মানুষের পাশে থাকছে, ২৬টি গরিব দরদী স্কিম করে ফেলেছে। তার মধ্যে কন্যাশ্রী, গীতাঞ্জলি, কৃষকবন্ধু, নিজ গৃহ নিজ ভূমি, রূপশ্রী, শিশু সাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। একেবারে তৃণমূল স্তরে কাজ করছে ওরা। ’
আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই বিপুল জয়ের পরে লিখেছেন, আমরা মানুষের পাহারাদার। বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও।