গ্রেফতার কৈখালির রংয়ের কারখানার মালিক, তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 02 Jan 2022, 12:52 PM IST- বিমানবন্দরের খুব কাছে এই কারখানা হওয়ায় অনেক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল।
নতুন বছরের একেবারে পয়লা তারিখে কৈখালির রায়াসনিক কারখানায় ফাটতে শুরু করেছিল একের পর এক সিলিন্ডার। বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল এই রংয়ের কারখানা। তদন্তে নেমে জানা যায় এই কারখানায় কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাই তিনি রাখেননি। এই অভিযোগ ওঠায় আজ, রবিবার কারখানার মালিক পবন আগরওয়ালকে গ্রেফতার করল বিধাননগর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই আজই কারখানায় যাচ্ছে ফরেনসিক টিম।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই কারখানার মালিক নানা অসাধু কাজের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল। তাই অবৈধ রাসায়নিক তিনি এই কারখানায় মজুত করতেন। বিনিময়ে সেখান থেকে মোটা টাকা কমিশন নিতেন। বিমানবন্দরের খুব কাছে এই কারখানা হওয়ায় অনেক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। যা তিনি নেননি। এমনকী আগুন লাগলে তা নেভাবার ব্যবস্থা পর্যন্ত রাখেননি। একদিকে উপযুক্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা অন্যদিকে বেআইনিভাবে নির্মাণ হয়েছিল কারখানাটি। দমকলের পক্ষ থেকে পুলিশে এই অভিযোগ জমা পড়ায় মালিক পবন আগরওয়ালকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এই আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় নিরাপত্তারক্ষীর। রবিবারই কারখানায় যাচ্ছে ফরেনসিক দল। এই কারখানার নিরাপত্তারক্ষীর খোঁজ মিলছিল না আগুন লাগার পর থেকে। তবে বিকেলে তাঁরই দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম কানাই সাঁতরা (৬৮)। এভাবে একটা কারখানা চালানো কার্যত ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, এই রংয়ের কারখানায় থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। তারপর পাশের কারখানাতেও সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের ১৭টি ইঞ্জিন কাজে লাগে। এখনও কোথাও কারখানার পকেটে আগুন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন দমকলকর্মীরা। এখন সেখানে ঠাণ্ডা করার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কারখানার মালিক গ্রেফতার হওয়ায় খুশি অনেকেই।