বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > আশি পেরিয়েও করোনাকে হেলায় হারালেন বৃদ্ধ, মনে জোর বাড়াল সুখস্মৃতি

আশি পেরিয়েও করোনাকে হেলায় হারালেন বৃদ্ধ, মনে জোর বাড়াল সুখস্মৃতি

২৪ দিন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাটানোর পরে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৮৪ বছরের কলকাতাবাসী তপন মিত্র।

হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে একাধিক রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় দীর্ঘ জীবনের নানান সুখস্মৃতি রোমন্থন করেই মনের জোর বাড়িয়েছেন।

টানা ২৪ দিন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাটানোর পরে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৮৪ বছরের কলকাতাবাসী তপন মিত্র। বাড়ি ফেরার পরেও খুব কাছে থেকে মৃত্যুকে দেখার অভিজ্ঞতা তাঁর পিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছে। 

করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার পরে গত ২৪ এপ্রিল তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অজানা জীবাণু সংক্রমণ ছাড়াও তাঁর সিওপিডি, ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন এবং হৃদযন্ত্রের বিবিধ সমস্যা থাকায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছিল। সেই সঙ্গে আইসোলেশন ওয়ার্ডের নিঃসঙ্গতা এবং অচেনা রোগের ভয় গ্রাস করেছিল তপনবাবুকে। 

করোনা ছাড়াও রক্তপ্রবাহে অন্য এক সংক্রমণ তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটাতে থাকে। তার ফলে দু বার তাঁকে আইসিইউ বিভাগে ভরতি করা হয়। অবশেষে হাসপাতালে নাগাড়ে ২৪ দিন চিকিৎসার পরে তাঁকে সুস্থ করে তোলেন চিকিৎসকরা। 

নানাবিধ জটিল শারীরিক সমস্যার কারণে অনেকেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম তপন মিত্র। অদম্য মনোবল ও প্রাণশক্তিই তাঁকে শেষ পর্যন্ত সারিয়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু কোথা থেকে এই শক্তি সংগ্রহ করলেন অশীতিপর তপনবাবু?

বর্ষীয়ান নাগরিক জানিয়েছেন, হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে একাধিক রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় দীর্ঘ জীবনের নানান সুখস্মৃতি রোমন্থন করেই মনের জোর বাড়িয়েছেন। শয়ে শুয়ে মনে করেছেন বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের স্মৃতি এবং আজীবন পথচলায় তৈরি হওয়া সম্পর্কগুলোর কথা। তবে কোনও দুঃখ বা অপ্রিয় ঘটনা মনে স্থান দেননি কর্পোরেট সংস্থার প্রাক্তন কর্তা। 

হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তথা আনন্দপুর ফোর্টিস হাসপাতালের ডিরেক্টর রাজা ধর জানিয়েছেন, তপনবাবুর খুব খারাপ ধরনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। পরে তাঁর রকত্তপ্রবাহেও অন্য রকম সংক্রমণ ধরা পড়ে। দুই বার তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়। প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন প্রবীণ রোগী। 

 

বন্ধ করুন