জুতোর ভেতর, অ্যাটাচির ভেতর, ফলের ঝুড়ির মধ্য়ে পাচারের নজির রয়েছে। কিন্তু পটলের মধ্য়ে বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের কথা কোনও দিন শুনেছেন? সেই অভিনব কায়দায় বৈদেশিক মুদ্রা পাচারের পর্দাফাঁস হল কলকাতা বিমানবন্দরে। এই অভিনব কায়দায় পাচারের ঘটনা দেখে কার্যত হতবাক অনেকেই।
সূত্রের খবর, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্কক যাচ্ছিলেন একজন যাত্রী । শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা ওই ব্যক্তির ব্যাগে তল্লাশি চালান। কিন্তু প্রথম থেকেই ওই যাত্রীর প্রতি কিছুটা সন্দেহ করছিলেন আধিকারিকরা। এদিকে ওই যাত্রীর ব্যাগে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে এল আসল সত্যিটা। দেখা গেল ওই ব্যাগের মধ্যে কিছু পটল রয়েছে। কিন্তু বিমানে করে ৪০ টাকা কেজি পটল বয়ে নিয়ে যাওযার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা।
এরপর সেই পটলগুলিকে ঘিরে সন্দেহ বাড়তে থাকে। কলকাতা থেকে ব্যাঙ্ককে পটল নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যাত্রী। আর সেই পটল চিরতেই চক্ষু চড়কগাছ। সেই পটলের মধ্যে রাখা রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা। অত্যন্ত কৌশলে ওই যাত্রী পটলের মধ্য়ে বৈদেশির মুদ্রা ভরে ফেলেছিলেন। এরপর সেগুলিকে তিনি বড় ব্যাগের মধ্য়ে পুরে ফেলেন। সেই ব্যাগ নিয়েই তিনি বিমান চেপে পড়েছিলেন। তবে এখানেই শেষ নয়। তার বেল্টটিও পরীক্ষা করে দেখা হয়।সেই বেল্টটা পরীক্ষা করে দেখা যায় তার মধ্য়ে সোনা ভরা রয়েছে। সেই সোনাও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কিন্তু পটলের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা এল কীভাবে?
সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি অত্যন্ত সুকৌশলে এই কাজটি করেছিলেন। তিনি পটলটি চিরে তার মধ্য়ে বৈদেশিক মুদ্রা ভরে ফেলেন। এরপর সেই পটলগুলিকে ফের নানা কৌশলে জোড়া লাগিয়ে ফেলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পটল দেখেই সন্দেহ হয় আধিকারিকদের। তারা ধরে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে।
তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, বিমানবন্দরে ব্যাগের মধ্যে পটল নিয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই আধিকারিকদের অভিজ্ঞ চোখে তা ধরা পড়বেই। আর সেখানেই সন্দেহ ক্রমশ বাড়তে থাকে। আর সেই পটল চিরতেই একেবারে চক্ষু চড়কগাছ। আপাতত তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে নিজেই এই কাণ্ড করেছে। নাকি এর পেছনে আরও বড় চক্র রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি নেহাতই ক্যারিয়ার নাকি এই পাচার চক্রের অন্যতম চক্রী তিনি সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কার কাছে এই বৈদেশিক মুদ্রা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।