সকাল বেলায় জলে থইথই বিমানবন্দর। ভেঙে পড়েছে ছাউনি। ভিডিও ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখন মনে হচ্ছিল যে হয়তো কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হবে কলকাতা বিমানবন্দরকে। কিন্তু আমফানের প্রভাব ঝেড়ে ফেলে দুপুর বেলাই অপারেশন শুরু হল বিমানবন্দরে। রাশিয়ার বাসিন্দাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি চাটার্ড প্লেন এল নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
তখনও অবশ্য বিমানবন্দরে অনেক অংশ জলের তলায়। পাম্প দিয়ে সেই জল ধীরে ধীরে সরিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার হ্যাঙার, অর্থাত্ যেখানে বিমান রাখা হয়, সেটি ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার এক কর্তা সংবাদসংস্থা IANS-কে জানান যে তাদের হ্যাঙারে ক্ষতি হয়েছে এই সাইক্লোনের ফলে। কতটা বড় ক্ষয়ক্ষতি, সেটি নির্ধারণ করা হচ্ছে। তবে প্রতিকুল পরিস্থিতির ফলে ধীরে কাজ হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেন এই আমফানে অক্ষত থেকেছে বলে জানান এই আধিকারিক। প্রসঙ্গত আগামী সপ্তাহ থেকে চালু ঘরোয়া বিমান পরিষেবা। সেখানে কলকাতা থেকেও বেশ কিছু বিমান চলবে।
এয়ার ইন্ডিয়ার সিএমডি রাজীব বনসল বলেন যে তাদের দুটি প্লেন ছিল বিমানবন্দের। সেগুলির কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে একটি বেসরকারি প্লেন ছিল তাদের হ্যাঙারে পার্ক করা, যেটি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত। একশো বছরের মধ্যে বাংলায় এরকম ঝড় আসেনি। শুধু ৩-৪ দিন লাগবে পরিস্থতি বুঝতে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শহরে আসছেন আমফান বিধ্বস্ত অঞ্চলের পরিদর্শনে। ইতিমধ্যেই ৭২জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।