ঠিক ন'দিন। তারপরই বন্ধ হয়ে গেল কলকাতা বিমানবন্দরের নয়া কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র। সেই ন'দিনে সেখানে একজন যাত্রীকেও রাখা হয়নি। উলটে সেজন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে বেরিয়ে যাবে কয়েক লাখ টাকা।
মূলত বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কলকাতায় নামার পর পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য। সেজন্য বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের থেকে একটি জায়গা চাওয়া হয়েছিল। সেইমতো ঘরোয়া উড়ানের জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আগে যে টার্মিনাল ব্যবহৃত হত, সেখানেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। নয়া টার্মিনাল উদ্বোধনের পর শুধুমাত্র হজ যাত্রীদের জন্য সেটি ব্যবহার করা হত। তবে চলতি বছর হজ না হওয়ায় টার্মিনালের একটি অংশ রাজ্যের হাতে তুলে দিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সেজন্য রাজ্যকে কোনও ভাড়া গুণতে হত না। শুধু বিদ্যুতের খরত দিতে হত।
তারপর কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরির জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দিয়েছিল রাজ্য। ৪০০ টি শয্যার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। ছিল চিকিৎসকদের জন্য পৃথক ঘর এবং দুটি বড় শৌচাগার। ঠিক ছিল, দু'মাস রাজ্য সেটি ব্যবহার করবে। কিন্তু ন'দিনের মাথায় সেই কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এত খরচ করে সব পরিকাঠামো তৈরির পর আচমকা কেন কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হল? সূত্রের খবর, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের জন্য নয়া কোয়ারেন্টাইন নিয়ম চালু করা হয়েছে। কেন্দ্রের সেই নিয়ম অনুযায়ী, যাত্রীরা প্রথম সাত দিন নিজেদের খরচে হোটেলে থাকবেন। তারপর চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে আরও সাতদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। অনেক সময়ে আবার চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বিমানবন্দরে নামার পর যাত্রীদের বাড়িতেই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হচ্ছে। ফলে কোনওক্ষেত্রেই বিমানবন্দরের কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র প্রয়োজন হচ্ছে না।