মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছিল বিমানটি। সেই বিমানের এক যাত্রীকে তল্লাশি চালানো হয়। আর সেই তল্লাশি চালাতে গিয়ে অন্তত ৫টি সোনার বার বাজেয়াপ্ত করল শুল্ক দফতর। একটি বড় ও অপর চারটি আয়তনে কিছুটা ছোট। শুল্ক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ওই সোনার বারের ওজন প্রায় পনেরোশো গ্রাম। এই সোনার বারের দাম প্রায় ৭৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৮০ টাকা।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা তাকে তল্লাশি চালায়। শরীরের কোথায় সোনা লুকানো রয়েছে তার খোঁজ শুরু করেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। এরপরই ওই যাত্রীর জুতোতে তল্লাশি চালাতেই হতবাক গোয়েন্দারা। জুতোর মধ্য়ে লুকানো ছিল সোনার বার।
সূত্রের খবর, একটি কালো টেপ দিয়ে বাঁধা হয়েছিল সোনার বারগুলি। এরপর সেগুলি জুতোর মধ্যে রাখা হয়। সেই জুতো বেঁধেই তিনি বিমানে উঠে পড়েছিলেন। আপাতভাবে দেখে বোঝার উপায় নেই। শরীরে তল্লাশি চালালেও জুতোর মধ্যে সোনা রয়েছে বোঝা যাবে না।
তবে জুতো খুলে তল্লাশি চালাতেই বেরিয়ে এল আসল সত্য। ওই পুরুষ যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। ওই সোনা কোথায় পাচার করার কথা ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর কেউ যুক্ত কি না তা দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর শরীরের মধ্যে পকেট করে কোকেন পাচারের নজির রয়েছে। সম্প্রতি দুই ব্রাজিলিয়ান যুগলকে এনিয়ে আটক করা হয়েছিল। এবার জুতোর মধ্যো সোনা পাচার। তবে অভিজ্ঞমহলের মতে, জুতোর মধ্যে পাচার এটা বেশ পুরানো কায়দা। বর্তমানে আরও পাচারের ধরণে নানা বদল এসেছে।