কলকাতার রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমেছে ২০২৪ সালে। এদিকে বেসরকারি বাসের পরিষেবার হালও খুব একটা ভালো নয়। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ মেনেই এবার রাস্তায় নেমে পড়লেন স্নেহাশিস। জানা গিয়েছে, কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে সরকারি বাস চলাচলের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সোমবার রাস্তায় নেমেছিলেন খোদ পরিবহণমন্ত্রী এবং পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন। এই আবহে মন্ত্রী স্নেহাশিস দাবি করেন, বর্তমানে কলকাতা ও শহরতলিতে সরকারি বাসগুলির দৈনিক ৩৩০০ ট্রিপ চলে। এরই মধ্যে কলকাতা এবং শহরতলিতে ট্রিপের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০। তবে মন্ত্রী এও মেনে নিয়েছেন, এই সংখ্যাটা যাত্রী চাহিদার তুলনায় যথেষ্ঠ নয়। এই আবহে দ্রুত সমাধান সূত্র বের করে আনার আশ্বাস দেন তিনি। (আরও পড়ুন: জাল ছড়িয়ে আরও গভীরে? প্রাক্তনের পর পাসপোর্ট জালিয়াতিতে এবার নজরে ৪ পুলিশকর্মী)
পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিসের কথায়, কোথায় কেমন পরিষেবা প্রয়োজন, তা স্পষ্ট ভাবে বুঝতেই সোমবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখেন তিনি। এদিকে রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এতদিন কলকাতায় ৫৫০টি সরকারি বাস ছুটত। এগুলি প্রায় ৩৩০০টি ট্রিপ চলত। এবার বাসের সংখ্যা বাড়বে শহরে। এরই সঙ্গে ট্রিপের সংখ্যা বেড়ে ৪১৯৮ করা হবে। এদিকে নিউটাউনে বাস ট্রিপের সংখ্যা ১০৮ থেকে বাড়িয়ে ১৫৬ করা হবে। দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী, গড়িয়াহাট, কালীঘাট, আলিপুর ও এক্সাইড অঞ্চলে ২৪টি বাস ট্রিপ বাড়ানো হচ্ছে।
দাবি করা হচ্ছে, উল্টোডাঙা-ইকোস্পেস রুটে এসি ৩০এস বাসের সংখ্যা ছিল মাত্র ১, তা বেড়ে হবে ৩; আর এই রুটেই এস ৩০ বাসের সংখ্যা ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করা হবে। নিউটাউন-হাওড়া রুটে এস ১২ বাসের সংখ্যা ছিল ১৫, তা বেড়ে হবে ১৮। দমদম স্টেশন থেকে করুণাময়ী রুটে এসি ৩৮ বাসের সংখ্যা ৬ থেকে বাড়িয়ে ৮ করা হবে। হাতিশালা-হাওড়া রুটে ইবি ১৩ বাসের সংখ্যা ছিল ৩, তা বেড়ে হবে ৫। সাপুরজি-হাওড়া রুটে এসি ১২ বাসের সংখ্যা ৮ থেকে বাড়িয়ে ১২ করা হবে।
গতকাল এই নিয়ে মন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী যেখানে আমাদের ঘাটতি থাকে তখনই আমাদের বলেন। এয়ারপোর্ট থেকে ফেরার পথে তিনি দেখেন কয়েকজন রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। এরপরই তিনি বাসের ট্রিপ বাড়ানোর কথা বলেন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছি। যে সব জায়গা থেকে প্রচুর মানুষ যান... যে পরিমাণ সরকারি বাস থাকা দরকার সেটা কোথাও কোথাও অভাব দেখা যায়। জানা যায়, সোমবার পরিবহন দফতরের একাধিক আধিকারিক আমতলা ডিপো, ঠাকুরপুকুর ৩এ ডিপো, শিলপাড়া ডিপোতে ঘুরে দেখেন। যাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন। এছাড়া সেক্টর ফাইভে গিয়ে বাসের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আসেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও পরিবহণ সচিব।