বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক। তবেই কলকাতায় বইমেলায় প্রবেশের অনুমতি মিলবে। এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে। তবে করোনাভাইরাস টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাঁদের বয়স ১৮-র ঊর্ধ্বে, তাঁদের টিকাকরণের শংসাপত্র লাগবে।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বইমেলা। চলবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারও সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা হতে চলেছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবার বইমেলার বহর অনেকটা কাটছাঁট করা হবে। বেশি জমায়েত এড়াতে ছোটো করা হতে পারে স্টলের আকার। রাখা হবে ফাঁকা জায়গা। তবে সেক্ষেত্রে স্টলের সংখ্যা কমানো হবে কিনা, সে বিষয়ে গিল্ডের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
গিল্ডের তরফে জানানো হয়েছে, এবার বইমেলায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, প্রণব মুখোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ, আনিসুজ্জামান, দেবেশ রায়, নিমাই ভট্টাচার্য, মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত, স্বপন মজুমদার, অনিশ দেব, শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব গুহ, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, রাজীব ঘোষের মতো প্রয়াতদের সম্মান জানানো হবে।
কোন কোন শর্ত মেনে চলতে হবে?
১) মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া বইমেলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ।
২) করোনাভাইরাস টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হবে। তবে টিকার ডবল ডোজ নিলেই শুধুমাত্র প্রবেশ করা যাবে কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যাঁদের বয়স ১৮-র ঊর্ধ্বে, তাঁদের টিকাকরণের শংসাপত্র লাগবে।
৩) ই-পাসও চালু করা হতে পারে।
৪) পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে নতুন কোনও বিধিনিষেধও জারি করা হতে পারে।
এবারের থিম কান্ট্রি কী?
গতবার বইমেলার থিম কান্ট্রি ছিল বাংলাদেশ। আগামী বছরও সেই থিম থাকছে। তার ফলে এই নিযে তৃতীয়বার কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি হচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে এবং ২০১৩ সালে বাংলাদেশের থিম হয়েছিল। তবে এবার বাংলাদেশের তরফে কে আসবেন, তা স্পষ্ট নয়। গিল্ডের তরফে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। বাংলাদেশেও যাবেন গিল্ডের প্রতিনিধিরা।