নয়াদিল্লির ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে। আর তারপর অপহরণকারীরা মাদুরদহে আটকে রাখে ব্যবসায়ীকে। এই অবস্থায় অপহরণকারীদের চোখে ফাঁকি দিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ফোন করে উদ্ধারের অনুরোধ করেন ওই ব্যবসায়ী। এই ফোন পেয়ে তাঁর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করা হয়। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে আনন্দপুর থানার পুলিশ। তিনজন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ব্যবসায়ী গুগল ঘেঁটে পুলিশ কমিশনারের নম্বর বের করেছিলেন।
ঠিক কী ঘটেছে ব্যবসায়ীর সঙ্গে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নয়াদিল্লির পাইপ ব্যবসায়ী অশোক থাপা কয়েকদিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন। কলকাতায় ব্যবসায়ী কুন্তল গুছাইতের সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক কাজ ছিল। তাঁর সঙ্গে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এরপর ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে অশোককে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে মাদুরদহের একটি পরিত্যক্ত গুদামে আটকে রাখা হয় অশোকবাবুকে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, ইডেন গার্ডেন্স এলাকা থেকে ব্যবসায়ী অশোক থাপাকে অপহরণ করে চারজন। প্রথমে হোটেল এবং পরে আনন্দপুর থানা এলাকার মাদুরদহের একটি স্টোর রুমে আটকে রাখা হয় তাঁকে। শনিবার কোনওরকমে কলকাতা পুলিশের কমিশনারের নম্বর জোগাড় করে উদ্ধারের আর্জি জানান ওই ব্যবসায়ী। ফোন পেয়ে লালবাজারের পক্ষ থেকে আনন্দপুর থানায় বিষয়টি জানানো হয়। অপহৃতের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাঁর কাছে পৌঁছে যায় পুলিশ। চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। যার নির্দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটেছিল সেই মূল এখনও পলাতক।
কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে? এই ঘটনার পর ব্যবসায়ী কুন্তল গুছাইতের পাশাপাশি তার তিন সহযোগী আলি, শাহনাজ এবং শম্ভুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়। তারপর গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক বিবাদের জেরেই নয়াদিল্লির ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়।