দেশে এখন যেন সবার হাতেই একটা করে ফোন। এমনকী নিম্নবিত্তদের বাড়িতেও একটা করে মোবাইল অন্তত থাকে যেন। রোজকার জীবনে মোবাইলের ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে কয়েক বছরেই। ডিজিটাল লেনদেনের জমানায় মোবাইলের ব্যবহার আরাও বৃদ্ধি পাবে বলেই ধারণা সাধারণ মানুষের। তবে পরিসংখ্যান যেন অন্য কথা বলছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে বহু মানুষ মোবাই সংযোগ ছেড়ে দিচ্ছেন। এবং কলকাতা সার্কলের গ্রাহকদের মোবাইল সংযোগ ত্যাগ করার প্রবণতা একদম ওপরের দিকে। মোবাইল সংযোগ ত্যাগ করার তালিকায় দেশে দ্বিতীয় স্থানে আছে কলকাতা সার্কল। (আরও পড়ুন: ৯০ ঘণ্টা কাজ বির্কে L&T প্রধানের হয়ে গলা ফাটালেন TCS CEO, কী বললেন তিনি?)
আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের নতুন বেতন কমিশন কার্যকর হলে কি দেশে বাড়তে চলেছে রেল ভাড়া?
আরও পড়ুন: নিয়মের নামে পকেট কাটার চেষ্টা? জিও-Vi-এয়ারটেলকে পাশ করতে হবে TRAI-এর পরীক্ষা
ট্রাইয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা দেশে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে ০.১৫ শতাংশ বেশি মানুষ মোবাই সংযোগ ছেড়েছেন। কলকাতায় এই হার ০.৬৫ শতাংশ। কলকাতায় গত নভেম্বরে মোবাইল সংযোগ ছেড়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার জন। এদিকে শতংশের নিরিখে কলকাতার ওপরে আছে জম্মু ও কাশ্মীর সার্কল। সেখানে ০.৯ শতাংশ বেশি মানুষ নভেম্বরে মোবাইল সংযোগ ছেড়েছেন। সংখ্যার নিরিখে যা ১ লাখ ১০ হাজার। এদিকে কলকাতা এবং শহরতলি ছাড়া রাজ্যের বাকি অংশ মিলিয়ে হল ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল। সেখানে ০.১৫ শতাংশ বেশি মানুষ মোবাইল সংযোগ ছেড়েছে। সব মিলিয়ে গ্রাহক হারানোর তালিকায় রয়েছে বাদবাকি ১৫টি সার্কল। (আরও পড়ুন: চাকরি ছাড়ার হার বেড়েছে IT সেক্টরে, কত ফ্রেশার নিয়োগের পরিকল্পনা সংস্থাগুলির?)
আরও পড়ুন: আচমকা বন্ধ হল FITJEE-র একের পর এক কোচিং সেন্টার, মাথায় হাত পড়ুয়াদের!
আরও পড়ুন: জাহাজে করে শহরে এল মেট্রোর নতুন দু'টি ডালিয়ান রেক, আছে কী কী ফিচার?
এদিকে ট্রাই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বরে বিএসএনএল-এর গ্রাহক সংখ্যা কমেছে কলকাতায়। পাঁচমাস পরে বিএসএনএল গ্রাহক হারিয়েছে এই সার্কলে। গোটা দেশে নভেম্বরে ৩.৪ লাখ গ্রাহক বিএসএনএল ছেড়েছেন। অপরদিকে শুধুমাত্র কলকতা সার্কলে বিএসএনএল সংযোগ ত্যাগ করা গ্রাহকের সংখ্যা ৮৫ হাজার। এদিকে ভি-এর সংযোগ ছেড়েছেন কলকাতা সার্কলের ৩০ হাজার জন গ্রাহক। এদিকে রিলায়েন্স জিও-র গ্রাহক সংখ্যা কলকাতা সার্কলে প্রায় একই থেকেছে। এদিকে গোটা দেশে জিও-র গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১২ লাখ। এদিকে গত নভেম্বরে দিল্লি, কর্নাটক, ওড়িশা, বিহার, হিমাচলপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশ (পূর্ব) সার্কলে মোবাইলের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়া অন্ধ্রপ্রদেশ সার্কলে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় একই ছিল গত নভেম্বরে।