রাজ্যে বিধি নিষেধ জারির পর করোনার দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফলে সংক্রমণ কমায় আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। মহানগর কলকাতায় কিছুদিন আগে এই করোনা সংক্রমণ যেখানে দৈনিক ৭ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। এখন তা অনেকটাই কমে গিয়েছে।
কিন্তু, দেখা যাচ্ছে যে কয়েকটি বোরো এলাকায় সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এখন এই বোরো এলাকাগুলি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পুর আধিকারিকদের কাছে। এই সমস্যার মোকাবিলায় গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছে কলকাতা পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে খবর, সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ৮ এবং ১০ নম্বর বোরোতে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বোরোগুলোতেও সংক্রমণ ক্রমেই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। সেক্ষেত্রে জানা যাচ্ছিল, অনেক বাসিন্দায় জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা না করিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত ওষুধ খাচ্ছেন এবং বিধি না মেনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যার ফলে ওই সমস্ত বোরো এলাকাগুলিতে সংক্রমণ বাড়ছে। কলকাতা পুরসভার বৈঠকে ছিলেন আবাসিক কমিটির প্রতিনিধিরাও।
এই অবস্থায় এলাকাবাসীদের সচেতনতার ওপরেই জোর দিতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, আজ শুক্রবার থেকে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে আবাসনগুলিতে প্রচার চালাবেন পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা। এছাড়াও, বোরো চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট বোরোতে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এলাকাবাসীদের সচেতনতা বাড়াবেন। জানা যাচ্ছে, এছাড়াও পুলিশও থাকবে সচেতনতার সময়। তাছাড়া, আবাসিক কমিটির প্রতিনিধিরাও সচেতনতা নিয়ে পুশিল, পুরসভাকে সাহায্য করবে বলে জানা গিয়েছে।
পুর আধিকারিকরা মনে করছেন, অনেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা না করার ফলে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট পুরসভার কাছে যাচ্ছে না। ফলে পুরসভার কাছে যাতে সকলের রিপোর্ট পৌঁছয় তার জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা করার অনুরোধ জানানো হবে বাসিন্দাদের। এছাড়াও, কোনও উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা করানোর অনুরোধ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।