করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক, গ্লাভসের মতো সরঞ্জাম ফেলার জন্য বিশেষ হলুদ ডাস্টবিন বসানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল কলকাতা পুরসভা। সংক্রমণ এড়াতে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যের দন্য আলাদা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে চলেছে তারা। এরই মধ্যে জারি হল নতুন নির্দেশিকা, পুরসভা মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এবার থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির বর্জ্য ওই হলুদ ডাস্টবিনে ফেলা বাধ্যতামূলক।
পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কলকাতা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ২,০০০ হলুদ ডাস্টবিন বসানো হবে। এই ডাস্টবিন পরিষ্কার করবেন বেসরকারি সংস্থার বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাফাইকর্মীরা। সেজন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও সেরে ফেলেছে পুরসভা।
ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এক একটি ডাস্টবিন পরিষ্কার করতে দিন পিছু ৫০০ টাকা করে দেবে পুরসভা। পুরসভার সাফাইকর্মীরা ওই সব ডাস্টবিনে হাত দেবেন না। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের তাদের যাবতীয় বর্জ্য ফেলতে হবে ওই হলুদ ডাস্টবিনে। আর তা না হলে বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে নিজেদের বাড়ির বর্জ্য অপসারণের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। কিন্তু কোনও পরিস্থিতিতেই সাধারণ ডাস্টবিনে ফেলা যাবে না হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির মাস্ক, গ্লাভস বা ডিসপোজেবল খাবার প্লেট।
বলে রাখি, পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার সব থেকে বেশি কলকাতায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হোক বা অভিজাত আবাসন, কোথাও রেহাই নেই সংক্রমণ থেকে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের হারে রাশ টানতে এবার ডাস্টবিন আলাদা করল পুরসভা। কিন্তু শহরবাসী মানবে কি?