বিপজ্জনক বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। যার ফলে খালি হাতে ফিরতে হল পুরকর্মীদের। ভাঙা হল না বিপজ্জনক বাড়ি। ঘটনাটি জোড়াবাগান থানার অন্তর্গত ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪এ নিমতলা ঘাট স্ট্রিট রোডে। কলকাতা পুরসভার বিপজ্জনক বাড়িগুলির তালিকায় একেবারে প্রথমে রয়েছে এই বাড়িটি। অভিযোগ নোটিশ ছাড়াই বাড়িটি ভাঙা হচ্ছিল। তার প্রতিবাদে কার্যত রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন বাড়ির ভাড়াটিয়ারা। ফলে বাড়ি ভাঙতে না পেরে ফিরে যেতে হয় পুরকর্মীদের।
পুরসভা সূত্রে খবর, ৬৯টি বিপজ্জনক বাড়ির তালিকা তৈরি করেছে কলকাতা পুরসভা। এর আগে ওই বাড়িতে একাধিকবার বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলা নিয়ে নোটিশ টাঙানো হয়েছিল। কিন্তু, প্রতিবার সেই নোটিশ বাড়ির বাসিন্দারা ছিঁড়ে দিয়েছেন বলে পাল্টা অভিযোগ পুরকর্মীদের। পুরসভার বক্তব্য, এই বিপজ্জনক অংশ ভাঙা না হলে সেগুলি যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে বড়সর বিপদ ঘটতে পারে। এদিন পুরসভার কর্মীরা নোটিশ নিয়ে আসলেও বাসিন্দারা তাতে বাধা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পৌঁছয় জোড়াবাগান থানা ও পুলিশ ট্রাফিক গার্ডের কনস্টেবল।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ওই বাড়িটি মালিকের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলেন একজন ভাড়াটিয়া। তারপর থেকে আর সেই বাড়ি সংস্কার করা হয়নি। যার ফলে বেহাল অবস্থা হয়েছে ওই বাড়িটির। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে বিপজ্জনক নোটিশ পাঠানোর পাশাপাশি বোর্ডও টাঙানো হয়েছিল বহুবার। কিন্তু, সেগুলি সবই ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ওই বাড়িতে থাকেন ২২ জন ভাড়াটিয়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুরসভার আধিকারিকরা। তারা বাড়ি ভাঙার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান ভাড়াটিয়াদের। কিন্তু, তারা তা মানতে রাজি হননি।