ডেঙ্গি নিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি রাজ্যজুড়ে। পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক কলকাতাতেও। এরই মধ্যে ডেঙ্গি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। শাসক তৃণমূলকে বারংবার তোপ দেগেছে বিজেপি। এবার ডেঙ্গি নিয়ে কাউন্সিলরদের ভুল কার্যত মেনে নিলেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেছিলাম যে কোন জায়গা আমাদের ধরতে হবে, কোন জায়গা আমাদের চিনতে হবে ও কোন জায়গায় কাজ করতে হবে। তবে এখন যা ফলাফল, তাতে দেখা যাচ্ছে যে কোথাও দুর্বলতা ছিল।’
প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগেই দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে ডেঙ্গির প্রস্তুতি বৈঠক করেছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। সেই বৈঠকের প্রসঙ্গই শনিবার উঠে আসে অতীনবাবুর কথায়। এদিকে পুরসভার ডেঙ্গি প্রস্তুতি বৈঠকে ডাক পাননি বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। এই আবহে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অতীনবাবু বলেন, ‘বিরোধী কাউন্সিলর তো আছি মাত্র পাঁচ-ছ’জন। বাকি তো ওনারা। কী করলেন। তাহলে আমরা কি কাউন্সিলর নই?’
শনিবার পর্যন্ত পুরসভার বরো ভিত্তিক ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বলছে, শহরে মোট ৬,০৫২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দক্ষিণ কলকাতার ৮ থেকে ১৪ নং বরোতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৬২৭ জন। এদিকে উত্তর কলকাতায় ১ থেকে ৭ নং বরোয় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১,৩৭১ জন। পুরসভার তথ্য বলছে, শহরে ডেঙ্গি রোগীদের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশই নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত। এই আবহে মশার প্রজনন রুখতে অতীন ঘোষ বলেন, ‘খালি জমির ক্ষেত্রে কড়া আইন প্রণয়ন করতে হবে সরকারকে। যাঁরা অকারণে খালি জমি ফেলে রেখেছেন, আশেপাশের মানুষ সেখানে ময়লা ফেলছেন। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’ উল্লেখ্য, ডেঙ্গির জীবাণুবাহী ইডিস, ইজিপটাই মশার পছন্দের আঁতুড়ঘরই হল এইসব পরিত্যক্ত জমি, পুকুর ও নর্দমা। এই জমি, পুকুর, নর্দমার তালিকা পুরসভার কাছে আছে ঠিকই। তবে মশার প্রকোপ কমছে না।