কলকাতা হাইকোর্ট গতকাল দর্শকশূন্য পুজোমণ্ডপ রাখার রায় দিতেই দেখা গেল, বহু পুজোমণ্ডপ ব্যারিকেড বসাতে শুরু করেছে। আবার কিছু পুজোমণ্ডপ আগে থেকেই সেই ব্যবস্থা করে রেখেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের রায় ঘোষণার আগে থেকেই। করোনা আবহে পুজো হচ্ছে রাজ্যজুড়ে। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতা হাইকোর্ট নো–এন্ট্রি জোন করতে নির্দেশ দিয়েছে। আপাতত এটাই দাওয়াই।
এই রায় না দিলে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তেন মানুষজন। ভিড় করতেন প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে। যা থেকে ছড়াতে পারত করোনা সংক্রমণ। এখন অবশ্য পরিস্থিতি দাঁড়াল, প্যান্ডেল আছে দর্শনার্থী নেই। পুজোমণ্ডপ দেখা যাবে, কিন্তু কাছে যাওয়া যাবে না। সুতরাং রাস্তায় বেরিয়ে লাভ নেই। বাড়িতে থেকেই নিতে হবে পুজোর আনন্দ।
এই বিষয়ে উত্তর কলকাতার বিখ্যাত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির সচিব সহাল ঘোষ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই দর্শনার্থীদের পুজোমণ্ডপে প্রবেশ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। স্থানীয় কিছু মানুষকে অনুমতি দিয়েছি, তবে ভিড় করা যাবে না। আমরা কলকাতা হাইকোর্টের রায় অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’
শহরের পশ্চিম–প্রান্তে রয়েছে দেবদারু ফটক পুজো। এখানে ব্যারিকেড বসে গিয়েছে। আর বিশাল একটি স্ক্রিন পুজোমণ্ডপের অদূরে লাগানো হয়েছে। যেখান থেকে মানুষ পুজো দেখতে পারবেন। এখানের পুজো কমিটির সদস্য গৌতম হালদার বলেন, ‘আমাদের পুজো কোনও ক্লাবের দ্বারা অনুষ্ঠিত হয় না। এলাকার মানুষের দ্বারা এই পুজো হয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে এখানে ভিড় না হয় তাই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সল্টলেকের এফডি ব্লক পুজো কমিটির সদস্য বাণীব্রত ব্যানার্জি বলেন, ‘এবার আমরা পুজোমণ্ডপ থেকে নির্দিষ্ট দূরে ব্যারিকেড করেছি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য রিং করেছি রাস্তায়। যাতে কোনও অসুবিধা তৈরি না হয়।’