পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় অনুভূত হল ভূমিকম্প। আজ সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতার বহু জায়গাতেই এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে আতঙ্কের জেরে বহু জায়গাতেই মানুষ রাস্তায় এসে নেমে পড়েন। রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ তিব্বতে ৭.১ রিখটার স্কেলে প্রবল ভূমিকম্প হয়। এর জেরেই মোট পাঁচ দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এদিকে প্রথম কম্পনের প্রায় আধ ঘণ্টা পরে আরও একবার ভূমিকম্প হয় বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় কম্পনটি হয় ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ২মিনিটে। দ্বিতীয় কম্পনের তীব্রতা ৪.৭। এর পাঁচ মিনিট পরে সকাল ৭টা ৭মিনিটে অনুভূত হয় তৃতীয় কম্পনটি। এই তৃতীয় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৯। (আরও পড়ুন: কলকাতা ও সল্টলেকে কোন রুটে বাড়ছে কটা সরকারি বাস? এখনই বা চলে কটা?)
আরও পড়ুন: বাঘের আগমন! রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের টাটকা পায়ের ছাপ, গর্জনে ঘুম উড়ল কুলতলির
রিপোর্ট অনুযায়ী, নেপালের গোকর্ণেশ্বরের কাছে লোবুচে থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং তিব্বতের শিগাতসে থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ মিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। সেখানে রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। এই এলাকাটি নেপাল সীমান্তের খুব কাছে। বিহারের মধুবনি জেলায় বেশ শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছিল এছাড়া উত্তরবঙ্গ, বাংলাদেশের বহু জায়গায় এই কম্পন অনুভূত হয়। নেপাল, ভুটানেও কম্পন অনুভূত হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুরের মানুষ কম্পন অনুভূত করে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনায় অনুভূত হয় এই কম্পন। প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই ঘরবাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। (আরও পড়ুন: জাল ছড়িয়ে আরও গভীরে? প্রাক্তনের পর পাসপোর্ট জালিয়াতিতে এবার নজরে ৪ পুলিশকর্মী)
আরও পড়ুন: 'ভারতে মাইক্রোসফটের বিনিয়োগ পরিকল্পনা' নিয়ে মোদীর সঙ্গে কথা, সত্য নাদেলা বললেন…
এদিকে ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও এই কম্পন অনুভূত হয়। তাছাড়া উত্তরপূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এই কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনেকেই। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সহ বহু জায়গাতেই এই ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নেপালের মাটি। সেবারের সেই ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়ে গিয়েছিল সে দেশের একটা বড় অংশ। সেই কম্পনে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। সেই বিভীষিকাময় স্মৃতি আজও অনেককে তাড়া করে বেড়ায়।