বিবাদী বাগে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের পিছনে ৫ নম্বর গার্স্টিন প্লেসে ভয়াবহ আগুন। পুরনো সেই বহুতলের ওপরের তলা নাকি ইতিমধ্যেই আগুনে পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে। কাকভোরের এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল নাকি দেরিতে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। এদিকে সেই বহুতলের আশেপাশে বসবাস করা ২৫টি পরিবার আতঙ্কিত চোখে রাস্তা থেকে দাঁড়িয়ে সেই অগ্নিকাণ্ড দেখছেন। দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এরই মাঝে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশও। (আরও পড়ুন: ৪ দফার বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি কর্মীদের, অপরদিকে বেতন বাড়াতে কমিশন গঠন রাজ্যের)
অগ্নিকাণ্ডের জেরে গোটা বিবাদী বাগ এলাকার আকাশ ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। এদিকে পুরনো সেই বাড়িটি ঘিঞ্জি এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এই আবহে দমকলের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা দাবি করছেন, বাড়িটির বয়স ১০০ বছরেরও বেশি। এর জেরে অগ্নিকাণ্ডে সেটির কাঠামো ভেঙে পড়ে কি না, তা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, আগুনের গ্রাসে যাওয়া ওই বাড়িতে জনবসতি ছিল না বলেই জানা গিয়েছে। ওই বাড়িতে আইনজীবীদের চেম্বার ছিল। আগুনের জেরে ইতিমধ্যেই ওপরের তলাটি নাকি পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ আগুন লাগে। বাড়িটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে স্থানীয়রা দমকলে খবর দেন। তবে দমকলের ইঞ্জিন আসতে দেরি করে বলে অভিযোগ। এরপর প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। পরে আরও ৩টি ইঞ্জিন বাড়ানো হয়। এদিকে দমকলের প্রাথমিক অনুমান, এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের আসল কারণ বের করতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের মাঝেই বাড়িটি থেকে মাঝেমধ্যেই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, কলকাতার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের আদি বাড়ি এই ১০০ বছর পুরনো বিল্ডিংটি। এই আবহে সন্তোষ পাঠক পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাঁর অভিযোগ, বাড়িটিতে রাসায়নিক গুদাম ছিল। সে জন্যই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে পুরনো বাড়ি হওয়ায়, দেওয়াল ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। অবশ্য অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।