দীপাবলির সময়ে আতশবাজির আলোর রোশনাই দেখে কল্লোলিনী কলকাতা। কিন্তু এবার তা দেখতে পাবেন না বঙ্গবাসী। কারণ বন্ধ হয়ে গেল কলকাতার আতশবাজি মেলা। আর তাতেই মনে যেন বিষাদের সুর। কঠিন বাস্তব হলেও এই মেলা বন্ধের কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। এমনকী কারণ হিসেবে বিপুল অর্থ খরচের কথাই উল্লেখ করেছেন তিনি।
কিন্তু কেন বন্ধের সিদ্ধান্ত? জানা গিয়েছে, এই মেলা শুরু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। দীপাবলির একসপ্তাহ আগে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে এই আতশবাজি মেলার আসর বসত। বিক্রি হতো হরেক রকমের আতশবাজি। ২০২০ সালে করোনাভাইরাস রক্তচক্ষ দেখানোয় সাময়িক মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এই বছর আতশবাজি ব্যবসায়ীরা আর্থিক কারণে মেলার আয়োজন করতে পারছেন না।
কেমন সেই আর্থিক অনটন? সমিতি সূত্রে খবর, মেলার করতে গেলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আবার বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য খরচ করতে হয় সাত লক্ষ টাকা। স্টল তৈরি করতে কম করে এক লক্ষ টাকা খরচ হয়। এছাড়া কলকাতা পুলিশ ও দমকল বাহিনীর জন্য অস্থায়ী শিবির গড়তেও লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। কোভিডের দাপটে আতশবাজির ব্যবসা তলানিতে ঠেকেছে। সেটা টের পাওয়া গিয়েছিল গতবছরই। তাই এই বছর মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় বলেন, ‘আতশবাজি মেলার আয়োজন করে সেভাবে মুনাফা হবে না। কারণ কোভিড বিধি মেনে স্টল তৈরি করতে বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ হবে। কিন্তু তা বিক্রি করে সেই টাকাই উঠে আসবে না। বরং আতশবাজি ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এবার মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’