বিয়ের পার্টিতে সঞ্চালনার জন্য পাটনায় গিয়েছিলেন। সেখানে একটি বিলাসবহুল হোটেলে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন এক যুবতী। তাঁকে নিয়মিত প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও পাটনা পুলিশের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি যুবতীর।
বছর ২৪-এর ওই যুবতীর দাবি, গত জুলাইয়ে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার হয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানের সঞ্চালনার জন্য পাটনায় গিয়েছিলেন। একটি বিলাসবহুল হোটেলে ছিলেন। পারিশ্রমিক দেওয়ার অছিলায় ২ জুলাই রাত একটা নাগাদ তাঁর ঘরে আসেন ওই ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মালিক ও অপর একজন। কিন্তু ঘরে এসে তাঁরা মদ খেতে শুরু করেন। যুবতীর অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। স্বামীকে ফোন করার চেষ্টা করলে ফোন কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যুবতীর দাবি, কাউকে ফোন করলে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বাথরুমের জলে ফেলে দেয় দু'জন। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্যই সেই কাজ করা হয়েছিল বলে দাবি যুবতীর।
পরে কলকাতায় ফিরে আসেন যুবতী। ৪ জুলাই যাদবপুর থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা হয়। ১৫ জুলাই মামলাটি পাটনা পুলিশের কাছে স্থানান্তর করে কলকাতা পুলিশ। তার ভিত্তিতে পাটনার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন যুবতী। তাঁর বক্তব্য, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। উলটে নিয়মিত খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। টাকা দিয়ে মুখ বন্ধেরও চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ যুবতীর।
যদিও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাটনা পুলিশ। অভিযুক্তরা পলাতক বলে দাবি করা হয়েছে। গণধর্ষণের অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার মালিকের স্ত্রী। তাঁর দাবি, তাঁর সঙ্গে নিয়মিত গান্ধী ময়দান থানার আধিকারিকদের কথা হচ্ছে। তাঁর স্বামী কোথাও পালিয়ে যায়নি। কোনও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।