কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট পরিচয়ে উর্দি পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছিলেন যুবতী। শুধু তাই নয়, কলকাতার নগরপালকে ‘বাবা’ বলেও সম্বোধন করার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে। যাদবপুরের বিক্রমগড়ের বাসিন্দা ওই যুবতীর এই কাণ্ডকারখানা ঘিরে শহরজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার জেরে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম থানায়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবতী বেশ কয়েকদিন ধরেই ট্রাফিক সার্জেন্টের পরিচয়ে পুলিশের উর্দি পরে একাধিক ছবি পোস্ট করেছিলেন নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। সেই ছবি ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হতেই সবকটি ছবি অ্যাকাউন্ট থেকে মুছেও ফেলেন তিনি।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ওই যুবতীর বিরুদ্ধে কোনও প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে কেন তিনি এই ধরনের ছবি পোস্ট করে ভুয়ো পরিচয় দিলেন, একইসঙ্গে কলকাতার নগরপালকে নিজের বাবা বলে পরিচয়ে দিয়ে ছবি পোস্ট করলেন, তাঁকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে কলকাতা পুলিশের সার্জেন্টের পরিচয়ে ও পুলিশের উর্দি পরে ছবি পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে। একইসঙ্গে বায়োতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে বাবা বলে সম্বোধনও করেন তিনি। বিষয়টি নজরে আসতেই তার পরিচিত এক তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই প্রসঙ্গে ওই যুবতী জানিয়েছেন, ইউটিউবে ভিডিয়ো বানানোর জন্য ওই পোশাক ভাড়া করে নিয়ে এসে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। দু’টি ভিডিয়ো ও একটি স্টিল ছবি দেওয়ার কথা স্বীকারও করেন তিনি। তবে তার কোনও অসত উদ্দেশ্য ছিল না বলেই দাবি করেছেন ওই যুবতী। তবে কোথা থেকে তিনি পুলিশের উর্দি ভাড়া নিয়েছিলেন, তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কলকাতা পুলিশের নগরপালকে কেন তিনি বাবা বলে পরিচয় দিয়েছেন, তারও যুক্তিপূর্ণ উত্তর দেননি সুলগ্না। ইনস্টাগ্রামের বায়োতে যে কলকাতা পুলিশের কর্মী বলে লেখা রয়েছে, কীভাবে তা লেখা হল, সেটাও নাকি তিনি জানেন না বলে দাবি করেছেন যুবতী। তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো পুলিশের অভিযোগ উঠলেও তা মানতে রাজি নন তিনি। অভিযোগকারিণীর সঙ্গে টিকটকে তার পরিচয় হয় বলে জানিয়েছেন সুলগ্না। তরুণীর সাফাই, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ফ্যান ফলোয়ার্সের বাড়ার কারণে ‘হিংসায়’ অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অন্য দিকে, তরুণীর মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ে অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মডেলিংও করেন তিনি। শুধু তাই নয়, একাধিক নাটকেও অভিনয় করেছেন তাঁর মেয়ে। সেকারণে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরতে হয় তাঁকে। ওই মহিলার আরও দাবি, ভালোলাগার জায়গা থেকেই পুলিশের পোশাক পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়েছিলেন মেয়ে। কিন্তু পুলিশ কমিশনাকে বাবা পরিচয় কেন দিয়েছিলেন তিনি ? তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।