একুশের নির্বাচনে সবচেয়ে চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছিল শীতলকুচি কাণ্ড। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল চারজনের বলে অভিযোগ। এবার এই ঘটনায় কেন্দ্র–রাজ্য সরকারের কাছ থেকে হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জোড়া জনস্বার্থ মামলা। বুধবার এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্র–রাজ্য দু’পক্ষের কাছেই হলফনামা তলব করল আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি নভেম্বর মাসে।
একুশের নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটের দিন ১০ এপ্রিল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। পরপর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল চারটি তরতাজা প্রাণ। জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথ তখন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য–রাজনীতি।
বুধবার এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, শীতলকুচির গুলিকাণ্ডে সিআইডি তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট আকারে হলফনামা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। আর সিআইএসএফ গুলি কীভাবে, কোন পরিস্থিতিতে চালিয়েছিল, তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও একটি হলফনামা নেবে আদালত। আজ কেন্দ্র–রাজ্যের কাছে এই পিটিশন তলব করে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিকের ব্যালিস্টিক টিমের সদস্যরা। ভবানীভবনে কোচবিহারের তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন সিআইডি’র আধিকারিকরা। আবার ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় একটি চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই। সেখানে কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল মানিক মৈত্র নামে এক ব্যক্তির মামলা যুক্ত হয়েছে।