আজ থেকে আর ৬ দিন বাকি ভবানীপুর উপনির্বাচনের। ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এই উপনির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রেস বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, এই নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট দেখা দেবে বলে উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা একটি উপনির্বাচনে কীভাবে আসল তা জানতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্ট হলফনামা জমা দিতে বলল নির্বাচন কমিশনকে।
নির্বাচন কমিশনের সেই বিবৃতি নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছে। যে বিবৃতির ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছিল, ‘পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি কোনওভাবেই ভোটের কেন্দ্রে প্রভাব ফেলবে না। ভারতীয় সংবিধানের ১৬৪ (৪) ধারায় একজন মন্ত্রী যদি বিধানসভার সদস্য না হন তা হলে ভোটের ফল প্রকাশের ৬ মাসের মধ্যে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যায়। সেই পদে সর্বোচ্চ পদাধিকারী নিয়োগ না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে।’
মামলাকারী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, ভবানীপুরে নির্বাচন এখনই না করানো হলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে মুখ্যসচিবের সুপারিশের উল্লেখ নির্বাচন কমিশনকে তার প্রেস বিবৃতি থেকে বাদ দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন মানবে কি না হাইকোর্টের কাছে সে ব্যাপারে শুক্রবার হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
একটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য রাজ্যের মুখ্যসচিবের চিঠি লেখা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সমান বলে অভিযোগ তোলেন আইমজীবী। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্ট জানতে চেয়েছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা একটি উপনির্বাচনে কীভাবে আসল? এই প্রশ্নের জবাবই হলফনামায় জানাবে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।