লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। আর সেই ছবি পেশ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। এবার এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে একসপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাতেই লালবাতি নিয়ে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি।
কী জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট? আজ, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যে কারা লালবাতি ব্যবহার করছেন? লালবাতি গাড়ি ব্যবহারের কী নিয়ম রয়েছে? প্রশ্ন তুলে রিপোর্ট একসপ্তাহের মধ্যে আদালতে জমা দিতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ১ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল লালবাতি নিয়ে? জানা গিয়েছে, লালবাতি গাড়িতে চড়েন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী রাজ্যের কোনও মন্ত্রীর গাড়িতেও লালবাতি লাগানো নেই। অথচ লালবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কেন এই নেতা লালবাতি ব্যবহার করেন? প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।
কী জানাচ্ছেন অনুব্রতর আইনজীবী? এদিন লালবাতি মামলার শুনানিতে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ জানান, তাঁর মক্কেল এখন লালবাতির গাড়ি ব্যবহার করেন না। আগে ডব্লিউবিএসআরডিএ’র চেয়ারম্যান থাকার সুবাদে এই লালবাতি গাড়ি ব্যবহার করতেন। এখন লালবাতি গাড়ি ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।