কয়েকদিন আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন উধাও হয়ে গিয়েছিল। আর তা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। কি করে এই ঘটনা ঘটল? কে বা কারা চুরি করল? তাহলে কী সরষের মধ্যেই ভূত? এইসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এবার এই ঘটনায় পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার রাজ্যের কাছ থেকে হলফনামা তলব করল হাইকোর্ট। এমনকী তা আগামী ৮ জুলাইয়ের মধ্যে পেশ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কয়েকদিন আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে উধাও হয়ে যায় ২৬টি জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন। যেগুলি করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। আর উধাও হয়ে যাওয়া ইঞ্জেকশনগুলির মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ ওঠে এক প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। কীভাবে ইঞ্জেকশন চুরি যাওয়া সম্ভব? তাও আবার হাসপাতালের ভেতর থেকে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে একটা চক্র কাজ করেছিল। এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক কর্তব্যরত এক নার্সকে ওই ইঞ্জেকশনগুলি নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। এমনকী সেগুলি হস্তগত করতে তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো প্রেসক্রিপশনও। এই ঘটনার তদন্তের জন্য তৈরি হয়েছে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি।
যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্পেসিমেন এক্সামিনেশন ফর্ম অর্থাৎ বিশেষ ফর্ম ছাড়া এই ইঞ্জেকশন পাওয়া সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। এই পরিস্থিতিতে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে আসে। তাতে এক মহিলার গলা শোনা যাচ্ছে যিনি নিজেকে সিসিইউ–এর সিস্টার হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি অন্য মহিলাকে বলছেন, দিদি, আমি সিসিইউ–এর সিস্টার। আপনি যে ২৬টি টসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন নিয়েছেন সেটা যদি কাগজে রিসিভ করে নিতেন। অপর প্রান্তের মহিলা বলেন, আচ্ছা আমি সোমবার করে দেব। এই অডিও ক্লিপের সত্যতা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল যাচাই করে দেখেনি।