স্কুল সার্ভিস কমিশনে গ্রুপ ডি নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। তারইমধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট। গ্রুপ ডি'তে ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ। অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর এই প্রথম কোনও প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই ধরনের নির্দেশকে নজিরবিহীন বলেই মনে করছে আইনজীবী মহলের একাংশ। সেইসঙ্গে, ভুয়ো নিয়োগ করার জন্য সরকারের যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়েছে তা পুনরুদ্ধারেরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উত্তরবঙ্গের নারজোল এ এল খান বিদ্যালয়ে গ্রুপ ডি'তে চাকরি পেয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই নিয়োগ ভুয়ো ছিল অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কার কাছ থেকে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন ওই প্রার্থী? তানিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। চাকরি প্রাপকের আইনজীবী স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছ থেকেই এই সুপারিশ পত্র পাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তা অস্বীকার করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এরপরেই ওই চাকরি প্রাপকের নিয়োগ বাতিল করে দেন বিচারপতি।
তবে স্কুল সার্ভিস কমিশন যদি নিয়োগপত্র না দিয়ে থাকে তাহলে এই নিয়োগপত্রের উৎস কী? তা জানতে চাইছেন বিচারপতি। এই ঘটনায় চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কীভাবে বা কার কাছে চাকরি প্রাপক এই নিয়োগপত্র পেলেন বা তার নিয়োগপত্রের উৎস কী? তা নিয়ে তদন্ত করবে এই কমিটি। তাদের কাছে সমস্ত নথি পত্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পাশাপাশি, চাকরি প্রাপককে তার নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ দিয়েছে হাইকোর্ট।