বৃহস্পতিবার রাজ্যের হোমগুলির অব্যবস্থা নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টের সমালোচনার মুখ পড়ল। এমনকী, রাজ্যকে ‘কাটমানি’ নিয়েও হাইকোর্টের কটাক্ষ সহ্য করতে হয়। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই সমালোচনা করেন। হোমের জন্য বরাদ্দ অর্থেরও নয়ছয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই বিচারপতিরা নির্দেশ দিয়েছেন, বয়স অনুযায়ী হোমের বাসিন্দাদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকেই।
গত ১৪ জুন পর্যন্ত হোমগুলিতে মোট ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওযা যায়। তারপরই এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে আদালত। সেই মামলার শুনানিতে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। হোমগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে দেশের সমস্ত হাইকোর্টকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ রাজ্য সেই রিপোর্ট জমা দিতেই বিচারপতিরা তা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন।
আদালত সূত্রে খবর, এই রিপোর্টে বিচারপতিরা দেখতে পান, একটি হোমের শুধু নীচের তলা নির্মাণ করতে ৩.৪১ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য দেখে বিচারপতিদ্বয় প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে হোমগুলির পরিস্থিতি এত খারাপ কেন? তবে কি হোম নির্মাণের টাকা থেকেও কাটমানি নিয়ে ঠিকাদাররা নিজেদের রাজপ্রাসাদ গড়ছে?’
এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের হোমগুলি কী অবস্থায় আছে, কীভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হচ্ছে, কতগুলি টেন্ডার হয়েছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত হোমে টিকাকরণ করাতে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এখন এই নির্দেশ মতো কাজ হয় কিনা সেটাই দেখার।