বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Primary TET: উপেন বিশ্বাসের সৎ রঞ্জন কে?‌ খোলসা হল কলকাতা হাইকোর্টে

Primary TET: উপেন বিশ্বাসের সৎ রঞ্জন কে?‌ খোলসা হল কলকাতা হাইকোর্টে

কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য মামলার তদন্ত এই উপেন বিশ্বাসই করেন এবং তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা বলেন, ‘‌আমি আদালতকে সাহায্য করব। যদি দেখি সিবিআই ঠিকমতো কাজ করছে না, সেটাও আদালতকে জানাব। আমি ছাড়ব না।’‌

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রঞ্জন নামক বোমাটি ফাটিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা উপেন বিশ্বাস। এবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মামলায় আদালতে উঠে এল উপেনের সেই রঞ্জন তত্ত্ব। ইউটিউব ভিডিয়োয় বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন প্রাক্তন আমলা। আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়েছেন, উপেন বিশ্বাস বর্ণিত রঞ্জন আসলে বাগদার মামাভাগিনা গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল।

আদালত ঠিক কী বলেছে?‌ কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আইনজীবীদের কথা শুনে ‘বাগদার রঞ্জন’কে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে সহযোগিতা না পেলে সিবিআ চন্দনকে হেফাজতে নিতে পারবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় উপেন বিশ্বাসকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আর ১৫ জুন এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে সিবিআইকে।

কী করে উঠে এল চন্দনের নাম?‌ সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সরব হন উপেন বিশ্বাস। ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে প্রথম সরব হন তিনি। তারপর সেই ফেসবুক পোস্ট হাইকোর্টের নজরে আনেন মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। চন্দন মণ্ডলের নাম উল্লেখ না করলেও জনৈক ‘বাগদার রঞ্জন’ এই দুর্নীতির হোতা বলে উল্লেখ করেছিলেন উপেন বিশ্বাস। সৌমেন নন্দী নামে এক চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মামলা করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ৮৭ জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই মামলাতেই চন্দনের নাম উঠে আসে।

উল্লেখ্য, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য মামলার তদন্ত এই উপেন বিশ্বাসই করেন এবং তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। এবার তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। কী বলছেন উপেন বিশ্বাস?‌ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা বলেন, ‘‌আমি আদালতকে সাহায্য করব। যদি দেখি সিবিআই ঠিকমতো কাজ করছে না, সেটাও আদালতকে জানাব। আমি ছাড়ব না।’‌

কে এই রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল?‌ উপেন বিশ্বাসের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, জনৈক ‘রঞ্জন’ প্রাথমিক–উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেন। প্রাথমিকের জন্য ১০ লক্ষ এবং উচ্চ প্রাথমিকের জন্য ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা করে নেন ওই ‘রঞ্জন’। মাধ্যমিক–উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। রাজ্যের এক মন্ত্রীর মৃত্যুর সময় তাঁর বাড়িতে স্বজন–ভোজনে মাছের দায়িত্ব একাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন ওই ‘রঞ্জন’। তবে ‘রঞ্জন’ অত্যন্ত ‘সৎ’ ব্যক্তি। কারণ তাঁকে টাকা দিয়ে কেউ চাকরি পাননি এই অভিযোগ নেই বলে জানান উপেন। এমনকী চাকরি করিয়ে দিতে না পারলে টাকা ফেরত দিতেন এই রঞ্জন। আর এই রঞ্জন ওরফে চন্দনের বাড়ি বুধবার ছিল তালাবন্ধ। নিজে প্রাথমিক স্কুলের প্যারাটিচার। ‘রঞ্জন সৎ’ নামে একটি ইউটিউব ভিডিয়ো–তে উপেন বিশ্বাস এমন সব তথ্য তুলে ধরেছেন।

বন্ধ করুন