চাকরির দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ী এলাকায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে চলছে অনশন। এই পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা মেনে চলার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী পর্ষদের আর্জি মেনে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা মানতে হবে। একইসঙ্গে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনীয় পুলিশ দিয়ে পর্ষদ অফিসে কর্মীদের ঢোকা–বেরনোর ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে। পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘পুলিশ কি পাওয়ারলেস?’
ঠিক কী বলেছেন পর্ষদের আইনজীবী? টেট প্রার্থীদের ধর্নার বিরোধিতা করে আজ, বৃহস্পতিবার আবার আদালতে গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেখানে পর্ষদের আইনজীবী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস বন্ধ। আমরা সেখানে ঢুকতে–বেরোতে পারছি না। সামনে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে।’ এরপরই পর্ষদের পক্ষ থেকে আইনজীবী সুবীর সান্যাল শাহিনবাগ আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের বিরোধী নই। আমরা চাই আমাদের কর্মী অফিসারদের অফিসে ঢোকা– বেরনো, গাড়ি যাওয়া–আসার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। আমরা ইমেল করে পুলিশের কাছে আবেদন করেছি। ৯ অক্টোবর থেকে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কিন্তু সেটাও মানা হচ্ছে না।’
তখন বিচারপতি কী মন্তব্য করলেন? এই পরিস্থিতির কথা বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে ক্ষুব্ধ হন। তিনি সব পক্ষের কথা শুনে বলেন, ‘পুলিশ, পর্ষদ কর্মীদের যাওয়া–আসার ব্যবস্থা করুক। পুলিশ কি পাওয়ারলেস? অফিস কোনটা?’ আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস, ৫৮/৭/১ প্রফুল্ল সদন। আর আদালতে রাজ্যের পক্ষ থেকে আইনজীবী অমল সেন জানান, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেখান থেকে তাঁদের সরাতে ব্যর্থ হচ্ছি। সেখানে হাসপাতাল আছে, অফিস আছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত এলাকা সেটা। কিন্তু সেখানে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? পর্ষদ–পুলিশ–রাজ্য সবার কথা শোনার পর বিচারপতির নির্দেশ, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সামনে টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ১৪৪ ধারা মানতে হবে। এমনকী প্রয়োজনীয় পুলিশ দিয়ে কর্মীদের পর্ষদের অফিসে ঢোকা–বেরনোর ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। তারপরে রেগুলার বেঞ্চ এই মামলা শুনবে। বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে সব ব্যবস্থা করবে।