বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই অভিযোগে বিজেপি মামলা করতে পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টে। এমনকী এই দুটি ঘটনায় মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। এই মামলার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আইনজীবী আদিত্য মণ্ডল।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? হাওড়ায় যেখানে অশান্তি হয়েছিল সেখানে যেতে চেষ্টা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে সেখানে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি করা আছে বলা হয়। আর সুকান্ত মজুমদার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানে যেতে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এভাবে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে রাজ্য সরকার বলে অভিযোগ তুলে মামলা করার অনুমতি চান আইনজীবী। তাতে সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
ঠিক কী ঘটেছিল হাওড়ায়? বিজেপির (সাসপেন্ড) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে অশান্তির আগুন জ্বলেছে হাওড়ায়। শনিবার নিউটাউনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানে যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় সুকান্ত মজুমদারকে। তখন পুলিশের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি বাধে। আর জোর করেই গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোন সুকান্ত। তখন তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ।
শুভেন্দুর ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কাঁথি থেকে বেরিয়ে হাওড়ায় অশান্ত এলাকায় যেতে পারেন আশঙ্কা করে রবিবার তমলুকে শুভেন্দুকে আটকে দেয় পুলিশ। তার জেরে তাঁর সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ চলে। পরে বিকেলে তাঁর পথ ছেড়ে দেয় পুলিশ। পুলিশ জানিয়ে দেয়, কোলাঘাট হয়ে কলকাতায় যেতে পারবেন শুভেন্দু। তখন কলকাতায় এসে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।