জিটিএ নির্বাচন নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল তা আর থাকল না। কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্বাচন নিয়ে হওয়া মামলায় হস্তক্ষেপ করল না। বরং নির্বাচন এবং ফল ঘোষণায় কোনও বাধা নেই বলেই জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। সুতরাং নির্ধারিত দিনেই হবে জিটিএ নির্বাচন।
ঠিক কী ঘটেছিল জিটিএ নিয়ে? জিটিএ নির্বাচনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল জিএনএলএফ। তাঁদের দাবি ছিল, সংবিধান সংশোধন না করে এই নির্বাচন করা যাবে না। কারণ সংবিধান সংশোধন না করেই ২০১১ সালে জিটিএ গঠন হয়েছিল। তাই পুরনো ভোট প্রক্রিয়া অবৈধ। আজ, শুক্রবার সেই মামলার রায়দান করল কলকাতা হাইকোর্ট।
ঠিক কী বলেছেন বিচারপতি? জিটিএ নির্বাচন নিয়ে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, ‘জিটিএ নির্বাচনে কোনও বাধা নেই। নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ২৬ জুনই নির্বাচন হবে। ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা থাকছে না।’ আগামী ২৬ জুন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠক করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার পরই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, এই নির্বাচন নিয়ে অনশনে বসেছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং। আর বিজেপি এটা নিয়ে ধোঁয়া দেওয়ায় মামলা করে জিএনএলএফ। তবে আজ যে রায় দেওয়া হয়েছে তাতে তাদের মুখ পুড়ল বলে মনে করা হচ্ছে। আইনি পথে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। অথচ নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যপালের সম্মতিতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল।