পিএসি মামলা নিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারপরই আজ কলকাতা হাইকোর্টকে নির্দেশ দিতে দেখা গেল, রাজ্য বিধানসভায় স্পিকারের তলবে আর হাজিরা দিতে হবে না সিবিআই–ইডি’র প্রতিনিধিদের। বিষয়টি নিয়ে আদালত চত্বরে চর্চা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, নারদ কাণ্ডে স্পিকারের তলবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের আর হাজিরার প্রয়োজন নেই। যদিও এই মামলায় পরবর্তী শুনানি হবে ৮ অক্টোবর।
সম্প্রতি বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করেন সিবিআই–ইডি’র আধিকারিকরা। আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে বলেছিল, ‘বিধানসভার অধ্যক্ষ কোনও সিবিআই অফিসারকে সমন পাঠাতে পারেন না।’ আর স্পিকারকে চিঠি দিয়ে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ‘ইডি আইন মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করেছে।’ আর আজ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সাধারণ বৈঠকে কোনও সমস্যা নেই। তবে অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে বিধানসভার স্পিকারের একটা দড়ি টানাটানি চলছিল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, গত দু’বার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তকারী আধিকারিকদের তলব করেছিলেন। দু’বারই তাঁদের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা আইন মোতাবেক করেছেন।
কিন্তু তারপরও বিষয়টি থেমে থাকেনি। নারদ মামলায় মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিম এবং প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছিল ইডি। বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া হল না কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তাই তাঁদের তলব করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
নারদ মামলায় অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া বিধায়ক ও মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং মদন মিত্রর বিরুদ্ধে কী করে দুই তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিট গঠন করল? তা জানতেই অধ্যক্ষ আধিকারিকদের তলব করেছিলেন। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে বলা হয়, ‘ইডি আইন মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করেছে।’