বিজেপির নবান্ন অভিযানে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর, পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ছবি–ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। তাই বিজেপির এই কর্মসূচির বিরোধিতা করে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলা আজ, শুক্রবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই কর্মসূচির জেরে যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার সওয়াল করেন। এমনকী তাঁর হলফনামায় দাবি করা হয়েছে, ওই কর্মসূচির জেরে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন।
ঠিক কী ঘটল কলকাতা হাইকোর্টে? গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানে ভাঙচুর থেকে মারধর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আর তা নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল। এমনকী নবান্ন অভিযান বাতিলের আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার তাঁর হলফনামায় জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক আটকে জনজীবন বিপন্ন করে সভা, মিছিল, সমিতিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের। তার পরেও এমন মিছিল করার ঘটনায় আদালত হস্তক্ষেপ করুক।
ঠিক কী ঘটেছিল নবান্ন অভিযানে? বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মোট ৯জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। তা নিয়ে বিজেপি পাল্টা মামলা করেছে। আইন কোন পথে চলে সেটা দেখবেন বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কর্মীরা নবান্ন অভিযান করতে গিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি করে।
পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছিল? সাঁতরাগাছিতে বিজেপির কর্মীদের বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তখন তা ঠেকাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বেশ কয়েকজন তাতে আহত হন। পুলিশের কর্মীদের যেমন আঘাত লাগে তেমনি বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিত আঘাত পান। তাই নবান্ন অভিযানের পর ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ চান মামলাকারী। যা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।