ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলায় রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের আবেদন খারিজ করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে তদন্ত ভার রইল সিবিআইয়ের হাতেই। গত ১৩ মার্চ ঝালদায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু।
ঠিক কী আবেদন করেছিল রাজ্য? আদালত সূত্রে খবর, গত ৪ এপ্রিল ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা মামলার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তপন কান্দু খুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি রাজ্য পুলিশের হাতে থাকা সব নথি সিবিআইকে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য। তাঁদের বক্তব্য ছিল, রাজ্য পুলিশের তৈরি সিট–এর হাতে দেওয়া হোক তদন্তভার। আজ সেই আবেদনের রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য পুলিশ নয়, সিবিআই যেমন তদন্ত করছিল সেভাবেই তদন্ত হবে।
কলকাতা হাইকোর্ট ঠিক কী বলেছে? আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেন, ঝালদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত বহাল থাকছে। সিঙ্গল বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল সেটায় ত্রুটি ছিল না। তাই সেটাই বহাল রাখা হচ্ছে। আর রাজ্যের আবেদন সেক্ষেত্রে খারিজ করা হচ্ছে। গত ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। ৭ এপ্রিল সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিবিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
উল্লেখ্য, ১৩ মার্চ সন্ধ্যেবেলা গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। ঝালদা–বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টোদিক থেকে আসা একটি মোটরবাইকে তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লেগেছিল। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন কান্দু। তখন দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।