কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে তৈরি কেন্দ্র, মামলার নিষ্পত্তি অধরা কলকাতা হাইকোর্টে

এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করার আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা রাখা হয়েছিল। তাই এই মামলা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়।

কলকাতা হাইকোর্ট (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই)

আজ কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের শেষদিন। তার র হাতে মাত্র একদিন। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছে আগামী ২৩ ডিসেম্বর। সুতরাং ততদিনে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হয়ে ফলাফল পর্যন্ত বেরিয়ে যাবে। তাই এই মামলার নিষ্পত্তি অধরা রইল বলে মনে করা হচ্ছে।

এই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ভোট করার আবেদন আগেই খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। রাজ্য পুলিশের উপরই আস্থা রাখা হয়েছিল। তাই এই মামলা নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করা হয়। আজ সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানি। শুক্রবার সন্ধ্যেবেলা অথবা শনিবার সকালের মধ্যে নির্দেশনামা কলকাতা হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলেই জানালেন প্রধান বিচারপতি।

তবে এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে (এএসজি) প্রশ্ন করেন, এখন কি বাহিনী আনা সম্ভব? উত্তরে এএসজি বলেন, ‘‌৬ ঘণ্টার মধ্যে বাহিনী আনা সম্ভব। চাহিদা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে আমরা প্রস্তুত।’‌ আবার শুক্রবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি জানান, রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির উপর আস্থা রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ করা হয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে পারবে বলেই মনে করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

এদিন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই তাঁদের তিরস্কার করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, বিগত নির্বাচনের পরিস্থিতি দেখে ভোটাররা ভোট দিতে এগিয়ে না এলে, আপনারা কী ব্যবস্থা করেছেন? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, প্রচুর সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১০ হাজারের কিছু বেশি। তখন কমিশনের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‌আপনারা কী এই মামলাটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন না?’‌ দীর্ঘ সওয়াল–জবাবের পর আগামী ২৩ ডিসেম্বর আবারও এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।