রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে ফের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। আজ, সোমবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নিয়ম না মেনেই রামপুরহাট গণহত্যায় ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন রাজ্য সরকার। নিয়ম বহির্ভূতভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। এভাবে সাক্ষীদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হতেই আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে কলকাতা হাইকোর্টে? এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের হয়। বিষয়টি নিয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতকে জানান, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডের পরে সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। কার সঙ্গে আলোচনা করে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? এই ঘটনায় মামলার সাক্ষীরা প্রভাবিত হতে পারেন। তখনই দুই বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্যকে দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জবাব পেশ করতে নির্দেশ দেন। ফলে আবার রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? গত ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটের পূর্বপাড়ায় স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন করা হয়। তারপরই বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয় ৯জনের। ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। বাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা জানান। তাঁদের হাতে নিয়োগপত্রও তুলে দেওয়া হয়।
তাহলে সমস্যা কোথায়? হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, এভাবে রাজ্যের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য নিয়ম বহির্ভূত। নিয়ম মানা হয়নি। তাই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যের জবাব তলব করল।